যে কারণে ফেসবুক লাইভে এসে বিচার চাইলেন আ. লীগ নেতা (ভিডিওসহ)

যে কারণে ফেসবুক

কোনভাবে কোথাও থেকে সুবিচার না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের আকুতি জানান অনেকে।

এবার এমনই এক আকুতি নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে কাঁদলেন ঢাকা উত্তরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর।

তিনি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) একজন ঠিকাদার।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) ফেসবুকে তার ওই লাইভটি বেশ ভাইরাল হয়।

ওই লাইভে তাকে ডিপিডিসির প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্থানীয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে।

লাইভে এসে তিনি জানান, গত ২০ বছর ধরে ডিপিডিসির একজন ঠিকাদার তিনি। সম্প্রতি ডিপিডিসির একটি প্রকল্পের ৯০ লাখ টাকার ঠিকাদারি কাজ পেয়েছেন তিনি।

এ কথা জানার পর স্থানীয় চাঁদাবাজরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে ডিপিডিসির অফিস থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে সেসব চাঁদাবাজরা।

তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরও বলেন, জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনীর সদস্যরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে মারধর করতে দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।

এ সময় তিনি নিজেকে ঢাকা উত্তরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বলে পরিচয় দেন।

ভিডিওর শেষ দিকে তিনি ওইসব চাঁদাবাজরা গুলশান ও বনানীর স্থানীয় সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেন। তিনি এ বিষয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

লাইভটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে। শেয়ার করা হচ্ছে অগণিত।

এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী মোহাম্মদ ওমর বলেন, এখন আর ঠিকাদারি ব্যবসায় আগের মতো ফাঁকি দেয়া যায় না। এখন কাজ স্বচ্ছ হতে হয়। সে কারণে এ ব্যবসায় আগের মতো লাভ হয় না।

এর মধ্যে চাঁদাবাজদের ৫ লাখ টাকা দিলে এক টাকাও লাভ থাকবে না আমার। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা অফিসে এসে আমাকে ভরা জনতার সামনে রক্তাক্ত করে।

অথচ সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। আমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। তাই মনের কষ্টে লাইভে এসে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দেশবাসীকে জানাই আর এর বিচার চাই।

জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল ঠিকাদার মোহাম্মদ ওমর ডিপিডিসির অফিসের সামনে কতিপয় দুর্বৃত্ত দ্বারা এ হেনস্তার শিকার হন।

সেদিন তিনি লাইভে এলেও তার মোবাইলে মেগাবাইট না থাকায় ভিডিওটি তখন আপলোড হয়নি। পরে সেদিন রাতে ওমর তার মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে ভিডিওটি আপলোড দেন।

চাঁদাবাজদের প্রসঙ্গে ওমর জানান, জনৈক রিয়াদের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু লোক তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বৃহস্পতিবার গুলশান প্রকল্প অফিসের সামনে রিয়াদ ও তার লোকজন তার ওপর এ হামলা চালায়।

ঠিকাদার ওমরের এই লাইভ ও অভিযোগ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় রিয়াদকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মোহাম্মদ ওমরের ভাইরাল সেই ভিডিওটি দেখুন –

আরএম-০১/১৪/০৪ (অনলাইন ডেস্ক)