পঁয়ত্রিশ বছর পর সচল হল বিদ্যাসাগরের আমলের ঘড়ি

ঘড়িটি কেনার সময়ে স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বয়ং। ধুলো ঝেড়ে বছর দুয়েক আগে ঘড়িটি উদ্ধার করা হয়। গত এক বছর ধরে ঘড়িটি সারানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনেক জায়গায় খোঁজ করেও সারানো যায়নি। প্রায় ৩৫ বছর পর ঠিক করা হল প্রায় দেড়শো বছরের পুরোনো ঘড়িটি। টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতি-সম্পৃক্ত উত্তর কলকাতার শঙ্কর ঘোষ লেনের মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন (মেনস) স্কুলে ১৮৭৮ সালে কেনা গ্রান্ডফাদার ক্লক তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে খারাপ হয়ে পড়েছিল একটি আলমারির মাথায়।

স্কুলের পরিচালন সমিতির সভানেত্রী তপতী ঘোষ বলেন, এক প্রাক্তনী মারফৎ আমরা জানতে পারি বউবাজারের বাসিন্দা প্রদ্যুৎ দত্ত এ ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ। উনি এই ধরনের ঘড়ি মেরামত করেন। তিনিই অবশেষে সারিয়ে দিতে পেরেছেন। আমরা ঘড়িটি ঠিক করে স্টাফরুমে রেখেছি।

তিনি বলেন, এই ঘড়িটি বহু পুরোনো, এখন প্রায় অ্যান্টিক বলতে পারেন। এর যন্ত্রপাতি আর পাওয়া যায় না। আমার সংগ্রহে কিছু যন্ত্র ছিল। তাই দিয়ে সারাই করে দিয়েছি। তপতী জানাচ্ছেন, যা নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ১৮৭৮ সালে আমেরিকান ঘড়ি কোম্পানি অ্যানসোনিয়া এই ঘড়িটি বের করে জানুয়ারি মাসে। ওই বছরই ডিসেম্বরে মডেলটি তারা বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যেই ঘড়িটি কেনা হয়েছিল।

দম দেওয়া এই ঘড়ির বিশেষত্ব হল, একই সঙ্গে সময় এবং তারিখ জানাতে পারে। এমন দেওয়াল ঘড়ি সে সময় বিরল তো ছিলই, এমনকী দামও বেশ চড়া ছিল বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তপতীর কথায়, ঘড়িটি ১৮৭৮ সালে কেনার পর প্রথম সারাই করা হয়েছিল ১৯২৮-এ। সেটা ঘড়ির গায়েই লেখা রয়েছে। তার পর আর সারাই করা হয়নি। পরে বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত অন্য নানা জিনিসের সঙ্গে ঘড়িটিও আমরা উদ্ধার করি।

এসএইচ-২১/১৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)