এই লোকটির আসল পরিচয়!

এই লোকটির আসল

দেখে অনেকেই হয়তো ভাবছেন কোন গরীব ক্ষুধার্ত মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রের খাবার খাওয়ার ছবি ফেসবুকে আপলোড করলাম কেন?

কিন্তু নাহ! আপনার ধারণা সম্পূর্ন ভূল। এটা মাদ্রাসায় পড়ুয়া কোন সাধারন হুজুর নয়। তাহলে আপনার মনে এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে, এই ব্যক্তি কে তাহলে? কি তার পরিচয়?

এই লোকটির আসল পরিচয় জানলে আপনি যেমন চমকে উঠবেন তার থেকে বেশী অবাক হবেন। এই নিরহংকার সাদাসিধে সুন্নাতি পোশাক পরিহিত ব্যক্তি আর কেউ নন।

তিনি হলেন আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর, মেডিকেল স্কলার এবং অসংখ্য পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ডাঃ মোঃ হুসাইন আবদ আল-সাত্তার (Dr. Hussain A. Sattar) তিনি প্রত্যক্ষভাবে হাজার হাজার মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষক।

আর পরোক্ষভাবে তার রচিত “Fundamentals of pathology” নামক গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি যেন বিশ্বের অন্যান্য ডাক্তারদের শিক্ষক। মেডিকেল জগতে তিনি “Creator of Pathoma” হিসাবে পরিচিত।

আমাদের দেশে কোন মেডিকেল কলেজে অথবা অন্যকোন নামধারী ভার্সিটিতে অধ্যয়ন করলে তার যেন অহংকার এবং দাম্ভিকতার সীমা থাকেনা। টুপি,পান্জাবী, দাড়ি দেখলেই অনেকে মনে করেন, ছেলেটা হয়ত মাদ্রাসায় পড়ুয়া কোন ‘কাঁঠমোল্লা’।

অথচ এই মহান ব্যক্তির পোশাকটা কিন্তু আমাদের বিবেচিত মাদ্রাসায় পড়ুয়া ‘কাঁঠমোল্লাদের’ পোশাকের মতোই। কিন্তু তাঁর মনে যেমন কোন অহংকার নেই তেমনি ভাবে নেই কোন দাম্ভিকতা! আর এমনি জীবন হওয়া উচিত আমাদের সবার। ❤

অতএব নিজেকে বদলান, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, দেখবেন দুনিয়াটা বদলে গেছে।

শেখ সাদীর ১৫টি উপদেশ যা আপনার জীবনকে বদলে দিবে

১) আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

২) এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেঁচেই ছিল না।

৩) অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।

৪) দেওয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারন তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।

৫) যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না।

৬) প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।

৭) তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- (ক) স্ত্রী লোক (খ) জ্ঞানহীন মূর্খ (গ) শত্রু।

৮) দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

৯) মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যানের মুখ দেখবে না।

১০) মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।

১১) অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।

১২) ইহ ও পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও|

১৩) কোন কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না|

১৪) বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না।

১৫) হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নীরিহ হরিনের উপর জুলুম করার নামান্তর।

আরএম-০৬/১৭/০৪ (অনলাইন ডেস্ক)