বাড়ির টাকা হাতাতে অপহরণের নাটক

বাড়ির টাকা হাতাতে মামাতো ভাই ও তার বন্ধুর সঙ্গে ছক করে অপহরণের গল্প ফেঁদেছিল এক কিশোর। পরে ৩ জনকেই কলকাতায় আনা হল। গোটা বিষয়টিই পূর্ব পরিকল্পিত। এর পেছনে কী কাহিনি তা দেখছে পুলিশ। জোড়াসাঁকো থানা এলাকা থেকে রবিবার আয়ুষ ভগৎ নামে এক কিশোরকে অপহরণ করা হয়। এরপর ওই কিশোরের ফোন নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

জানা গেছে, আয়ু্ষ ভোজপুরী গায়ক। এরপর শেষপর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকায় রফা হয়। লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররা তদন্ত শুরু করেন। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ইনস্পেক্টর সুব্রত পালের নেতৃত্বে একটু বড় পুলিশ বাহিনী আসানসোলের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গে আয়ুষের বাবা ও কাকাও যান। দুষ্কৃতীরা যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছিল, সেই পথেই তাঁরা যাচ্ছিলেন। এরপর যশিডি স্টেশনে পুলিশ নেমে যায়। এরপর অন্য একটি ট্রেনে চেপে ঝাঁঝা স্টেশনে পৌঁছয়।

দুষ্কৃতীদের বলে দেওয়া জায়গায় টাকা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা বলে, ছেলেকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার পর বলে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। তল্লাশিতে দেখা যায়, অপহৃত কিশোরের মামাতো ভাই মণীশ কুমার চৌরাসিয়া টাকা গুনছে। এর পরেই স্থানীয় লোকজনদের সাহায্যে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। জেরা করে সুমিতকুমার দুবে নামে আরেকজনকে ধরা হয়।

এদের দু’‌জনের বাড়ি বিহারের সিওয়ানে। পুরো টাকাটাই উদ্ধার হয়েছে। অপহৃত হওয়া কিশোরকে পাটনা থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রায় তিন দফায় যানবাহন বদল করে কলকাতা পুলিশ পৌঁছেছিল দুষ্কৃতীদের সন্ধানে। মাঝে মাঝেই বদলে যাচ্ছিল তাদের অবস্থান। তাই প্রথম দিকে দুষ্কৃতীদের ধরতে বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে।

পরে জানা যায়, সবটাই সাজানো ঘটনা। কেন এই অপহরণের চক্রান্ত, তা কী শুধু টাকার জন্য নাকি অন্য কারণ আছে, তা দেখা হচ্ছে। ধৃতদের কলকাতায় আনা হচ্ছে।

এসএইচ-২২/২২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)