মানবদেহ থেকে তৈরি সার ব্যবহার করা নিয়ে আইনি স্বীকৃতি আদায়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল আমেরিকার ওয়াশিংটন প্রদেশ। পাশ হয়েছে বিল। এখন গর্ভনর জে ইন্সলি বিলটিতে সই করে দিলে ২০২০ সালের ১ মে থেকে এই আইন চালু করতে কোনও বাধা থাকবে না।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ছ’টি দেহের উপর এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এক সংবাদ সংস্থার দাবি মানবদেহ থেকে সার তৈরি করতে খরচ পড়বে ৫,৫০০ ডলারের বেশি।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, মানুষের মৃত্যুর পর সাধারণ পদ্ধতিতে অন্ত্যেষ্টির বদলে ‘লিকুইড ক্রিমেশন’-এর বা ‘ন্যাচারাল অর্গানিক রিডাকশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে যে দেহাবশেষ পাওয়া যায়, তা দিয়েই তৈরি হবে উৎকৃষ্ট কম্পোস্ট সার।
অন্ত্যেষ্টির প্রক্রিয়াও হবে পরিবেশ বান্ধব।মৃতদেহ দাহ করলে পরিবেশে কার্বন-গ্যাসের মাত্রা বেড়ে যায়। অন্যান্য প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটে দূষণ।
মানবদেহ থেকে সার তৈরির এই নয়া পদ্ধতিতে তা হবে না। ফলে আইনসভার সদস্যদের পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব এই উপায়ে অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া চালু করার পক্ষে সওয়াল করছেন ওয়াশিংটনের অনেক বাসিন্দা।
তাছাড়া এই সার মেশালে সাধারণ মাটির মতোই গন্ধ বেরোয়। বাড়তি কোনও ‘বিকট’ গন্ধের কোনও আশঙ্কা নেই। ফলে বাড়ির বাগানেও এই সার স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসএইচ-১১/২৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার)