কাকগুলো কম অত্যাচার করে না, একদম জ্বালিয়ে মারে কৃষকদের। তাই কাকদের ওপর মহাবিরক্ত কৃষকরা। নাখোশ কীটপতঙ্গ বিনাশকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো । তাই তারা বন্দুক ছুঁড়ে কাক মেরে ফসল ও ব্যবসার ক্ষতি কমাতো। কিন্তু ক্রিস প্যাকহ্যাম করেছেন কী, আদালতের শরণাপন্ন হয়ে কাক নিধনের এই বন্দুকবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করিয়েছেন। তুমুল ক্ষেপেছেন ওই দুই পক্ষ, কৃষক আর পেস্ট কন্ট্রোলাররা।
ব্রিটেন সরকার এর আগে ১৬টি পাখির নাম উল্লেখ করে একটি আইন করেছিলো। ফসল নষ্টকারি বা পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যহানিকর, এসব বিবেচনায় প্রয়োজনবোধে কাকসহ ১৬টি পাখিকে মেরে ফেলার অধিকার দেয়া হয়েছিলো সে আইনে। ক্ষতিকর পাখিদের মারার লাইসেন্স ছিলো উন্মুক্ত, তাই বন্দুক চালাতে প্রশাসন বা কোন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হতো না। ওই আইনটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগেন পরিবেশবাদীরা, তাদের অন্যতম বিবিসির উপস্থাপক ক্রিস প্যাকহ্যাম।
লড়াইটা বেশ জমিয়ে তোলেন তারা, শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশপ্রেমীরাই জয়ী হন। এখন আর যথাযোগ্য কারণ না দেখিয়ে কাক মারা যাবে না, গত ফেব্রুয়ারিতে ক্রিস প্যাকহ্যাম আর তার সহকর্মী পরিবেশবিদরা পুরানো আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, এই হলো তার ফলাফল।
আদালত বলে দিয়েছেন, কাক, বুনো কবুতর, দোয়েলসহ ১৬ পাখিকে বিনাবিচারে মেরে ফেলা যাবে না। এখন থেকে ফসল বা ব্যবসা রক্ষার প্রয়োজনে পাখি মারতে হলে আগে ব্যক্তিগতভাবে লাইসেন্স নিতে হবে। কর্তৃপক্ষ বুঝেশুনে পাখিনিধনের অনুমতি দেবে। এই বিধিনিষেধকে মানতেই পারছেন না কৃষক ও পেস্ট কন্ট্রোলাররা। তারাই সম্ভবত অপকর্মটি করেছেন, টিভির জনপ্রিয় মুখ ও পরিবেশবাদী ক্রিস প্যাকহ্যামের নিউ ফরেস্টের বাড়ির গেইটে চুপি চুপি গিয়ে মরা কাক ঝুলিয়ে দিয়ে এসেছেন।
ক্রিস প্যাকহ্যাম একে একটি ভয়ানক কাণ্ড বলে বর্ণনা করেছেন, ছবি টুইট করেছেন। সেই সাথে এও বলে দিয়েছেন, এসব দেখে তিনি দুঃখ পেলেও বুঝতে পারছেন, তিনি সঠিক পথেই আছেন। কাজে অগ্রগতি হচ্ছে।
এসএইচ-০৮/০১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)