চার মাস ধরে চাকরি নেই। তিন সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে চরম হতাশায় দিন কাটছিল। কিছুতেই এমন পরিস্থিতি মানতে পারছিলেন না। অবশেষে পরিবারের সবাইকে গলাকেটে হত্যা করলেন এক ব্যক্তি। মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ভারতের গাজিয়াবাদে।
গত ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ভিডিও পোস্ট করে স্ত্রী সন্তানদের হত্যাকাণ্ডের কথা নিজে মুখেই স্বীকার করেন সুমিত কুমার। ভিডিওতে তিনি আরও জানান, শিগগিরি নিজেকেও শেষ করে দেবেন তিনি। এই ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী সুমিত কুমার পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। গত ডিসেম্বর মাস থেকে বেকার ছিলেন তিনি। তখন থেকেই কঠিন আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল তার পরিবার। গত বছরের অক্টোবরে বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানিতে যোগ দিলেও দুই মাস পরেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
চাকরি ছাড়ার বিষয়টি গত মার্চে হোলির ছুটির সময় জানতে পারে সুমিতের পরিবার। এরপর বেঙ্গালুরু ছেড়ে জ্ঞানখন্দের একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন তারা।
সুমিতের বোন জানিয়েছেন, ভিডিওতে সুমিত বলেন তিনি তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে খুন করেছেন। আর ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনিও আত্মহত্যা করবেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সুমিতের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভাঙার পর দেখে সুমিতের স্ত্রী ও সন্তানদের মৃতদেহ পড়ে আছে।
সুমিতের শ্যালক পঙ্কজ জানান, বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে সুমিত মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিওতে সুমিত বলেছেন, এক মাদক পাচারকারী তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছে। সেই টাকা এখনও ফেরত পাননি।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুমিত এবং তার স্ত্রীকে কখনও ঝগড়া করতে দেখেননি। অথচ আর্থিক অনটনে নিজের সন্তানদের আর স্ত্রী হত্যা করলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসএইচ-০৯/০৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)