যৌতুকের দাবিতে ছেলের সামনেই মায়ের শরীরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শরীরে আগুন জ্বলন্ত অবস্থাতেই দৌড়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন গৃহবধূ। তবুও হল না শেষ রক্ষা। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে বনহুগলি এলাকায়। মৃতের নাম সন্তোষি প্রামাণিক (২৫)। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরের দিকে স্থার্নীয় এমআরবাঙ্গুর হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা সবাই এখনো পলাতক আছে।
জানা গেছে, সাড়ে ৭ বছর আগে বিষ্ণুপুর থানা এলাকার নেপালগঞ্জের বাসিন্দা সন্তোষির সঙ্গে সম্পর্ক করেই বিয়ে হয় বনহুগলির বাসিন্দা উত্তম প্রামাণিকের। বিয়ের পরে স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের যৌতুক নেয় প্রামাণিক। সেই যৌতুক নেয়ার কিছুদিন পরই আবার যৌতুক দাবি করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর সেই যৌতুকের কথা বাবার বাড়িতে বলতে না চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংসারে নিয়মিত অশান্তি লেগে থাকত। এ ঘটনায় প্রায় সন্তোষির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার হতে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আর প্রতিনিয়ত এমন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে ছেলের সামনে নিজ স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী প্রামাণিক ও তার শাশুড়ি।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ তারিখে সন্তোষির পরিবার জানতে পারে, মেয়ের গায়ে আগুন লেগেছে। তারাই খবর পেয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এমআরবাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান। গতকাল শনিবার সেখানেই তার মৄত্যু হয়। অভিযোগ, পণের দাবিতে ছেলের সামনেই সন্তোষির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী ও শাশুড়ি।
রোববার নিহত সন্তোষির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এসএইচ-২১/০৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)