বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে চেয়ারে খেতে বসায় নিম্নবর্ণের এক দলিত তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড প্রদেশের রাজধানী দেরাদুনে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সমাজের উচ্চবর্ণের হিন্দুরা।
ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, গত ২৬ এপ্রিল দেরাদুনের তেহরি গারওয়াল জেলার শ্রীকোট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্রীকোটের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে চেয়ারে খেতে বসায় দলিত ওই তরুণকে পিঠিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলছে, নিহত নিম্নবর্ণের দলিত ওই যুবকের নাম জিতেন্দ্র দাস। তিনি দেরাদুনের বাসান গ্রামের বাসিন্দা। জিতেন্দ্র পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। মা, বোন ও ভাইকে নিয়ে সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী।
ওইদিন অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসে খাওয়ার অভিযোগে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন বিয়ে বাড়ির লোকজন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার দু’দিন পর মারা যান জিতেন্দ্র।
জিতেন্দ্রর এক বন্ধু বলেন, বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার সময় রাস্তায় কয়েকজন হঠাৎ জিতেন্দ্রকে আক্রমণ করে। বিয়ের অনুষ্ঠানেও তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিয়েবাড়িতে উচ্চবর্ণের অতিথিদের সঙ্গে চেয়ারে খেতে বসার কারণেই তাকে মারধর করা হয়।
এমনকি অতিথিদের সামনেই জিতেন্দ্রর খাবারের প্লেট ছুঁড়ে ফেলা হয়। পরে তাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
পুলিশ বলছে, জিতেন্দ্রর মৃত্যুর পর তার বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কেউ সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়নি।
এসএইচ-২৩/০৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)