জ্যোতিষীতেই আস্থা ভারতের রাজনীতিকদের

ময়না বলো তুমি ঘাসফুল, নাকি পদ্ম? ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগে আপাতত এটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। যার উত্তর খুঁজতে রাস্তার গণৎকারের তোতা-টিয়া-ময়নার খাঁচার সামনে উড়ে যাচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে নোট। বাজি ধরেছেন বহু লোক। বাজিমাত হবে কি না, তার আন্দাজ পেতে অনেকেই বসছেন গণক টিয়ার সামনে।

সোমবার হাওড়া ব্রিজে হাজির বৈদ্যবাটির সুবিমল রায়। ভাগ্যে বিশ্বাস করেন। মনে করেন ভাগ্য বদলানো সম্ভব। তাঁর দল কত পাবে সেই সংখ্যা বলতে পারবে টিয়াই। আর তা জানতেই ট্রেনে চড়ে আসা হাওড়ায়। সঙ্গী আরও জন চারেক বন্ধু। পাঁচ হাজার টাকা বাজি ধরেছেন বন্ধুদের সঙ্গে।

এক্সিট পোলের ফলাফলে মাথার চুল খাড়া। তাই স্থির থাকতে না পেরে একেবারে টিয়ার দুয়ারে তাঁরা। একটু যাঁরা বিত্তবান তাঁরা আবার ছুটছেন একেবারে জ্যোতিষঘরে। যদি কোনওভাবে বদলে দেওয়া যায় ভাগ্যটা। সামান্য কিছু তুকতাক করে কিছুটা আগে জেতা-হারাটা জেনে নেওয়া যায়।

“কী করব, সারা বছর ধরে দলটা করি। টেনশন আর ধরে রাখতে পারছি না। আগে থেকে মোটামুটি একটু আভাস পেয়ে যাওয়া আর কি! আসলে এখানে যিনি রয়েছেন, তাঁর কথা আমার মিলে যায়। অগাধ ভরসা।” সোমবার উত্তর কলকাতার এক জ্যোতিষীর চেম্বার থেকে বেরনোর সময় বলছিলেন বিরোধী দলের এক অনুগামী।

নামের বিচারে ২৩ তারিখ কার শুভ, কার অশুভ, যাবতীয় বিষয়ই নিষ্ঠার সঙ্গে কম্পিউটার দেখছেন। অনেকেই সকালে উঠে কোন রঙের পোশাক পরলে ফলাফলটা নিজের অনুকূলে আসবে, তা-ও অনেকেই বিচার করে রেখেছেন প্রার্থীরা।

কলকাতার হাওড়ার ব্রিজে বসেন গণৎকার বলরাম শাস্ত্রী। বললেন, “সোমবার থেকে ব্যবসা রাতারাতি বেড়েছে। প্রচুর মানুষ আসছেন। কেউ আবারতাবিজ-কবজও নিচ্ছেন। সবাই অবশ্য একই জিনিস জানতে চাইছেন, কারা ক’টা পাবে! আর নিজের পছন্দের প্রার্থী জিতছে কিনা! টিয়া যা তুলছে সেটা হবেই বলছি না। তবু অনেকেই তো এসব মানেন।”

এসএইচ-১২/২১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন)