নিজের সন্তান ও ভাইকে বিষ খাইয়ে হত্যা নারী চিকিৎসকের

বহু বছর ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেই অবসাদ থেকেই নিজের ভাই ও তার ১৪ মাসের শিশুকে খুন করল নারী চিকিৎসক। ভারতের আমেদাবাদের চিকিৎসক কিন্নারি পাটেলকে গ্রেফতার করেছে পাটান পুলিশ।

পুলিশি জেরায় গ্রেফতার হওয়া ওই নারী নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ দিন ধরে ৩২ বছর বয়স ভাই জিগার ও মেয়ে মাহিকে বিষ দিয়ে আসছিলেন। তদন্তকারী অফিসাররাও ওই নারীর ঠাণ্ডা মাথার এই খুনের ধরন দেখে তাজ্জব বনে যান।
ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি চাইতেন চোখের সামনে ভাই পাগল হয়ে মারা যাক। আর সেইজন্যই খাবারের মধ্যে অল্প অল্প বিষ মিশিয়ে তাদের খাওয়াতেন।

তিনি এও জানিয়েছেন, খুব ছোট্টবেলা থেকেই বাবা-মা ভাই জিগারকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন। যদি কোনও কারণে হাতের গ্লাস থেকে জল পড়ে যেত, সেই নিয়েই তাকে বকা দিতেন অভিভাবকরা। কিন্তু ভাইয়ের ক্ষেত্রে তা উল্টোটাই হতো। বাড়ির মধ্যে নিজেকে একা করে রেখেছিলেন তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বহু বছর ধরেই।

অন্যদিকে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও বাবা-মা তাকে সেই চোখে দেখতেন না। সমস্ত নজর ছিল ভাই ও তার মেয়ের দিকেই। মানসিক অবসাদ এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তিনি ইন্টারনেটে স্লো ডেথ নিয়ে গবেষণা করতে থাকেন। তাই ভাই ও তার একরত্তি মেয়েকে চোখের সামনে ছটফট করে মরতে দেখতে খাবারের মধ্যে অনেক দিন ধরেই অল্প অল্প করে বিষ মেশাতেন। তাতে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা অনেকেরই ধারণা হবে না।

অন্যদিকে ভাইয়ের স্ত্রীকেও বিষ দিলে, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, বাড়িতে দুটি মৃত্যু হলেও ওই নারীর চেহারায় কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। গ্রেফতার হওয়ার পরও তার কোনও অনুতাপের লক্ষণ দেখা যায়নি।

পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে মহিলাকে জেরা করলে সেখানেই ভেঙে পড়েন তিনি। তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসএইচ-২৪/০৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া)