এক সন্তানের বাবা দুই ভাই!
যমজ ভাইদের কি চেনা যায়? খুব কাছে থেকে লক্ষ্য না করলে চেনাটা অনেকক্ষেত্রেই মুশকিল। কিন্তু সেই না চেনার জল যদি গড়ায় সন্তান জন্মদান পর্যন্ত তখন তো বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছু নয় বিষয়টি। হ্যাঁ, এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের মধ্যাঞ্চলীয় গোইয়াস অঙ্গরাজ্যে।
অবিকল চেহারা দুই ভাইয়ের। ২০১৭ সালে যমজ ভাইদের একজন স্থানীয় এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারও চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু নববধূর জন্য যেটি বড়া সমস্যা সেটি হলো- তিনি চিনে নিতে পারতেন না কোনজন তার স্বামী আর কোনজন দেবর।
বিয়ের দুই বছর পর ওই নারী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর পর দেখা দেয় আরও বিড়ম্বনা। যমজ ভাইদের একজন নিজেকে সন্তানের বাবা পরিচয় দিতে নারাজ। তার দাবি, ওই কন্যাসন্তানের জন্মদাতা নাকি তিনি নন।
অন্যদিকে অপর যমজ ভাইয়েরও একই দাবি। তিনি নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় অস্বীকার করছেন।
বিষয়টি এক পর্যায়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতে বিচার জানান ওই নারী। পরে দুই ভাই মিলেই সন্তানের মায়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুললে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। ফলে জানা যায়, যমজ দুই ভাইয়ের একজনই ওই কন্যাসন্তানের আসল বাবা। তবে তিনি বিষয়টি মানতে নারাজ।
পুরোপুরি এক রকম চেহারা হওয়ায় এক ভাইকে বিয়ে করলেও ওই নারীর নাকি ভুলক্রমে যমজ অন্য ভাইয়ের সঙ্গেও কিছুদিনের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জেনে ওই নারীর স্বামী চুপ থাকেন। কারণ তার হাতে প্রমাণ করার কিছু ছিল না। কেননা তার জমজ ভাই দেখতে অবিকল তারই মতো।
অবশেষে গেল সোমবার গোইয়াস অঙ্গরাজ্য আদালতের বিচারক ফিলিপ লুইস পেরুসা এক রায়ে শিশুটির জন্মসনদে যমজ দুই ভাইয়ের নামই পিতৃপরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করে দেন।
আদালত রায়ে জানিয়েছে, সন্তানের ভরণপোষণের জন্য দুই ভাইকেই প্রতিমাসে দেশের সর্বনিম্ন মজুরির ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে। ব্রাজিলে সর্বনিম্ন মজুরির হার মাসে প্রায় ২৬২ মার্কিন ডলার।
এসএইচ-০৭/০৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)