সাংবাদিকের মুখে প্রস্রাব করলো পুলিশ!

পুলিশের বিরুদ্ধে খবর? পুলিশের সঙ্গে তর্ক? বেয়াদবি? সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রেলপুলিশের এক সদস্যের এমন রোষানলে পড়ে বেধড়ক মারপিটের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। সেই সময় তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ চলে।

এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের শামলি এলাকায়। সেখানকার স্থানীয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়েছেন রেল পুলিশের এক কর্মকর্তা। ওই সাংবাদিককে চড়, কিল, ঘুঁষি মারার পাশাপাশি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় মাটিতে। হাত থেকে কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভাঙা হয় ভিডিও ক্যামেরা। পরে শার্টের কলার ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে সেই সাংবাদিককে পোরা হলো গারদে।

মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের শামলির ধীমানপুরায় একটি মালগাড়ির লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার খবর করতে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সারা রাত গারদে আটক করে রাখা হয় তাকে।

এ ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর চাপের মুখে তাকে বুধবার ছেড়ে দেয়া হয়। জিআরপির অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) রাকেশ কুমার ও তার সঙ্গী কনস্টেবল সঞ্জয় পওয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পরে লিখিত অভিযোগে সেই সাংবাদিক বলেছেন, ‘সাদা পোশাকে ছিলেন জিআরপির পুলিশকর্মীরা। গারদে পোরার পর আমার জামাকাপড় খুলে নেয়া হয়। আমার মুখে প্রস্রাব করেন পুলিশকর্মীরা।’

ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিতে গেলে, তাদের সঙ্গেও তর্ক করতে দেখা যায় জিআরপির ওই অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসারকে। জিআরপির অভিযোগ, ওই সাংবাদিক তাদের বিরুদ্ধে খবর করেছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, গারদের ভেতর থেকে জিআরপির অফিসার রাকেশ কুমারকে লক্ষ্য করে অভিযোগ করছেন ওই সাংবাদিক। আর সামনে একটি চেয়ারে বসে রাকেশ গারদে আটক সাংবাদিকের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে টুইট করার দায়ে সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতারের জন্য এক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ওই সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়।

এসএইচ-১৫/১২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার)