প্রধানমন্ত্রীর বিড়াল বলে কথা!

বিড়াল দিয়ে ইঁদুর শিকার একটি প্রাচীন প্রথা। বিড়ালের উৎপাত বেড়ে গেলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অনেকে। প্রাচীন এই পদ্ধতি শত শত বছর ধরে অনুসরণ করা হচ্ছে ব্রিটেনের সরকার প্রধানের বাসভবনে। ইঁদুর ধরতে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয় বিড়াল।

এটি ব্রিটেনের পুরোনো ঐতিহ্য হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চিফ মাউসার’ পদ সৃষ্টি করে বিড়াল নিয়োগের ঘটনা ল্যারির ক্ষেত্রেই প্রথম ঘটেছে। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সিঁড়ি ও শোবার ঘরে ইঁদুরের উৎপাতে ক্লান্ত হয়ে ল্যারিকে নিয়োগ দেন। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সময় নিয়োগ পেয়েছিল এই বিড়ালটি।

নাম ‘ল্যারি দ্য ক্যাট’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের এই কর্মীর একমাত্র কাজ ইঁদুর শিকার। ব্রেক্সিট ইস্যুর জেরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে তিনবার পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন আসেনি কেবল ল্যারির পদে।

‘ল্যারি যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চিফ মাউসার’। অর্থাৎ ইঁদুর ধরার জন্য নিযুক্ত প্রধান বিড়াল। থেরেসা মে পদত্যাগ করার পর গুঞ্জন ওঠে, বরিস ক্ষমতায় এসেই থেরেসা মের আমলের অনেককে বরখাস্ত করছেন। এ দলে ল্যারিও রয়েছে। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে বরিস ঘোষণা দিয়েছেন, ল্যারি স্বপদেই থাকছে।

যুক্তরাজ্যের চিফ মাউসারের প্রধান দায়িত্ব ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ইঁদুর মেরে সাফ করা। তবে এ কাজে ল্যারির অদক্ষতা নিয়ে কম রসিকতা হয়নি। ২০১২ সালে ক্যামেরন একবার ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে প্রায় বরখাস্তই করেছিলেন। সেবার ক্যামেরনের চোখের সামনে ঘুরে বেড়ানো ইঁদুর ধরতে অনীহা দেখিয়েছিল ল্যারি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম তাই এর নাম দিয়েছে ‘লেজি ল্যারি’।

এসএইচ-০৭/০৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)