যৌন নির্যাতন করে ধরা খেল রাজপুত্র

যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনা তাঁর জীবনে নতুন কিছু নয়। এবার ব্রিটেনের রাজপুত্র অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে মার্কিন এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।

ডিউক অব ইয়র্ক অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ম্যানহাটনের একটি বাসায় অশালীন এবং ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে ওই তরুণীর দেহে হাত দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগকারি জোহান্না জোবার্গের অভিযোগ ২০০১ সালে ঘটনাটি যখন ঘটে, তিনি তখন নাবালিকা।

ঘটনাচক্রে ওই বাসার মালিক জেফ্রি এপস্টিনও ইতিপূর্বে নিউ ইয়র্কে যৌন হেনস্থার মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এমনকি এক নাবালিকাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রুর যৌনসঙ্গী হতে বাধ্য করারও অভিযোগ উঠেছিল কোটিপতি ব্যবসায়ী জেফ্রির বিরুদ্ধে।

২০১৫ সালে ভার্জিনিয়া জিউফ্রে নামের ওই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, জেফ্রি তাঁকে অ্যান্ড্রু-সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির যৌন-ক্রীতদাসী হতে বাধ্য করেছেন। ঘটনাচক্রে ভার্জিনিয়ার মতোই জোহান্নার অভিযোগও ‘অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে খারিজ করেছে বাকিংহাম প্যালেস।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জোহান্না বলেছেন, জেফ্রির নির্দেশেই ম্যানহাটনের ওই বহুতলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তখন অ্যান্ড্রুর সঙ্গে ভার্জিনিয়াও ছিলেন। জোহান্নার কথায়, ‘একটি সোফার উপর তাঁরা পাশাপাশি বসেছিলেন। ভার্জিনিয়ার কোলে একটি পুতুল রাখা ছিল। আমাকে অ্যান্ড্রু নিজের কোলে বসান। এবং তাঁর হাত দিয়ে অশালীন ভাবে আমার শরীর স্পর্শ করেন।’

২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি পদে আসীন ছিলেন অ্যান্ড্রু। বিবাহ-বিচ্ছিন্ন রাজপুত্র সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িয়েছেন বলে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

এসএইচ-১০/১২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)