স্ত্রী-সন্তানকে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

নেদারল্যান্ডসের ডোরডিরেখট শহরে এক পুলিশ কর্মকর্তা তার দুই সন্তানসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তার আহত স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রথমে পুলিশে জানিয়েছিল, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরের বন্দুকধারীর গুলিতে ঘটনাটি ঘটেছে কিন্তু পরে শোনা গেলো ভিন্নকথা।

দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, প্রথমে বন্দুক হামলার কথা শোনা গেলেও পরে জানা গেছে নিজের দুই সন্তান ও স্ত্রীকে গুলি করার পর আত্মহত্যা করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ কর্মকর্তা যে সচেতনভাবে নিজের দুই শিশু সন্তানকে গুলি করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। অপর এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র মিরিয়াম স্লট জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তার ৩৪ এবং তার স্ত্রীর বয়স ২৮ বছর। প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করেন তিনি। পরে তাদের দুই সন্তান যাদের বয়স আট ও ১২ বছর, তাদেরকে গুলি করেন। সন্তান দুটি মারা গেলেও বেঁচে গেছেন স্ত্রী। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

রোটারডাল হলো নেদারল্যান্ডসের বন্দর নগরী। ঘটনার পর ওউ পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে যায় পুলিশের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। বাড়ি থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। পুলিশের ফরেনসিক টিমও সেখানে গেছে আলামত সংগ্রহ করতে।

ডোরডিরেখটের মেয়র ওয়াল্টার কোফ ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ‘গুরুতর ওই গুলির ঘটনাস্থল’ পরিদর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। নিজের টুইটারে দেয়া এক বার্তায় এ কথা বলেছেন তিনি।

এসএইচ-২১/১০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)