উল্টাপাল্টা কারণে ডিভোর্স?

বিয়ে করলেই তো হল না। তা টিকিয়ে রাখাটাই নাকি বড় চ্যালেঞ্জ! এমনটাই বলেন অনেকে। তবে সে চ্যালেঞ্জ যে কতটা কঠিন হতে পারে, তা জানেন কি?

নিজের সঙ্গীর প্রতি বেশি কেয়ারিং হলেও বিপদে পড়তে পারেন! আবার স্ত্রীর টেক্সট মেসেজের জবাব না দিলেও ডিভোর্স হতে পারে। যতই তুচ্ছ মনে হোক, এসব কারণেও ছেদ পড়েছে দাম্পত্য সম্পর্কে!

বেশি কেয়ারিং
স্বামী বেশি কেয়ারিং হলেও ডিভোর্স হতে পারে! এমনটাই করেছেন আমিরশাহির এক মহিলা। গত মাসে খালিজ টাইমস জানিয়েছে, ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামী বড় বেশি কেয়ারিং। সর্বদা খেয়াল রাখা, সংসারের কাজকর্ম করা তো বটেই, তার সাতখুন মাফ। এত রোম্যান্টিক যে তা অসহ্য! ঝগড়া করতে না পেরেই নাকি ওই ব্যক্তিকে ডিভোর্স দেন মহিলা।

অ্যানিমেশন মুভি

২০১৪ সালের ঘটনা। স্বামীর সঙ্গে অ্যানিমেশন মুভি ‘ফ্রোজেন’ দেখতে গিয়েছিলেন জাপানের এক নারী। তবে তা দেখার পর স্বামী নাকি বলেছিলেন, “এমন কিছু আহামরি সিনেমা নয়।”

তাছাড়া, এ ধরনের রোম্যান্টিক বিষয়ে তার নাকি কোনও আগ্রহ নেই।

ব্যস! তাতেই বেজায় চটে যান মহিলা। ছ’বছরের সম্পর্কে সেখানেই ইতি!

মেসেজের উত্তর না দেওয়ায়

বার বার টেক্সট মেসেজ করলেও তার উত্তর দেননি স্বামী। এমনকি, মেসেজগুলো দেখা সত্ত্বেও তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। তাতেই রেগে আগুন তাইওয়ানের এক নারী। এর পর আর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি তিনি। ২০১৭ সালের ওই ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসি’র ওয়েবসাইটে।

অতিরিক্ত মেকআপ

২০১৬ সালের জুলাই। বিয়ের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পেরিয়েছে। দুবাইয়ের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। সেখান থেকে ফিরেই তাদের ডিভোর্স হয়েছিল। কিন্তু কেন?

স্বামীর দাবি, সমুদ্রস্নানের পর ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল তার স্ত্রীর মেকআপ আর ফেক আইল্যাশ। এবং সেই প্রথম স্ত্রীকে মেকআপহীন অবস্থায় দেখেছিলেন তিনি।

ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ায়

২২ বছরের সুখী দাম্পত্য। তবে হঠাৎই তাতে ছেদ পড়ে। ২০১৭ সালে ৭৩ বছরের গেল ম্যাকরমিক জানতে পারেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন স্বামী। তার রাজনৈতিক পছন্দ জেনে স্ত্রী বলেছিলেন, “আমাদের মধ্যে একটা অধ্যায় যেন প্রকাশ্যে এল। মনে হল, এত দিন ধরে যেন নিজেকেই বোকা বানাচ্ছিলাম।”

বেশি কথা বলা

তার স্বামী বেশি কথা বলেন। এমনকি, কোনও কথা গোপন রাখতে পারেন না। ৩৮ বছরের মারিয়াম আদুন্নির এমনটাই অভিযোগ ছিল। তার কথায়, “পরিবারের কথাও নিজের বন্ধুবান্ধবদের জানিয়ে দেন। আমাকে একটুও বিশ্বাস করেন না।:

তাদের ছ’বছরের সম্পর্ক আর বেশি দিন টেকেনি। ২০১২ সালে ‘হাফপোস্ট’-এ প্রকাশিত হয়েছিল সে ঘটনার কথা।

অশুভ শক্তির দোহাই

২০১৭ সালে ইতালির এক ব্যক্তি ডিভোর্সের মামলা করেন। আদালতে তিনি জানিয়েছিলেন, তার স্ত্রীকে শূন্যে ভেসে থাকতে দেখেছেন তিনি। বছর দশেক ধরেই নাকি নানা অদ্ভুত আচরণ করছেন তার স্ত্রী। ওই ব্যক্তির দাবি, ‘অশুভ শক্তি’ তার স্ত্রীর মধ্যে বাসা বেঁধেছে। তবে তাদের ডিভোর্স হলেও ওই নারীকে কোনওভাবেই দায়ী করেনি মিলানের কোর্ট।

সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি পোস্ট করলেও কি ডিভোর্স হতে পারে? এমনটাই হয়েছিল সৌদি আরবে। ২০১৬ সালে সে ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল।

বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে দেওয়ার পরই ডিভোর্স হয় এক নারীর। তার ভাই জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগেই নাকি শর্ত ছিল, দম্পতির কোনও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

লটারি জেতায়

২৫ বছর ধরে ঘরকন্না করছেন। হঠাৎ কোনও কারণ ছাড়াই ডিভোর্স দিয়ে দিলেন স্ত্রী। স্বামী তো একেবারে হতবাক! কারণ খুঁজতে আমেরিকার টমাস রোসির বছর দুয়েক সময় লেগেছিল। ১৯৯৯ সাালে টমাস জানতে পারেন, তার স্ত্রী ডেনিস ডিভোর্সের ১১ দিন আগেই ১৩ লাখ ডলারের লটারি জিতেছিলেন।

২০০১ সালের জুন মাসের ঘটনা। বেশ কিছু দিন ধরেই পোষা পাখিটি আউড়ে যাচ্ছে, ‘ডিভোর্স’ আর ‘ধৈর্য ধরো!’ সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। স্বামী বোধহয় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এর পর আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাননি ওই নারী। ওই ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও দম্পতির পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

মায়ের প্রতি টান

মায়ের প্রতি এতই টান যে তাকে ছাড়া থাকতেই পারেন না। এমনকি, হানিমুনেও দম্পতির সঙ্গে ছিলেন মা। ২০১২ সালের গোড়ায় সেই হানিমুনের পর ইতালির ওই দম্পতির বিয়ে টিকেছিল মাত্র তিন সপ্তাহ!

এসএইচ-০৬/১১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)