দলিত প্রেমিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা

আবারও জাতিবিদ্বেষ এবং বর্ণবৈষম্যের বলি হতে হলো এক দলিত যুবককে। ভারতের উত্তরপ্রদেশে ২০ বছর বয়সী এক দলিত যুবককে মারধরের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তার অপরাধ ছিল উচ্চবর্ণের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম।

নিহত যুবকের নাম অভিষেক। উচ্চবর্ণের এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় তাকে ঘরের ভেতরে আটকে আগুন লাগিয়ে দেয় ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন। আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিষেকের। এই ঘটনায় অভিষেকের প্রেমিকা এবং তার পরিবারের আরও দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিষেকের সঙ্গে ৬ বছর ধরে উচ্চ বর্ণের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিবারের শত্রুতা ছিল। অভিষেকের মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে তার মায়েরও মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

নিহত অভিষেকের চাচা রাজুবাবুর অভিযোগ, অভিষেকের মা কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মায়ের চিকিৎসার জন্য অভিষেক গ্রামেই এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছিলেন টাকা ধার করতে। সেই আত্মীয় তাকে ২৫ হাজার টাকা দেন। টাকা নিয়ে ফেরার সময় তার প্রেমিকার আত্মীয়রা তাকে ধরে ফেলে। প্রথমে তাকে মারধর করা হয়। পরে ঘরে আটকে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। অভিষেকের কাছে যে টাকা ছিল তাও ওই লোকজন কেড়ে নেয়।

হরদোই এলাকার পুলিশ সুপার অলোক প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, অভিষেকের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌঁড়ে আসেন। তারা জ্বলন্ত ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে লক্ষ্ণৌও হসপাতালে নিতে বলা হয়।

সেখানে নেয়ার পর রোববার তিনি মারা যান। পুলিশ ওই তরুণী, তার চাচা এবং চাচীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের বিরুদ্ধে নির্যাতন প্রতিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। অভিষেকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-০৬/১৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)