মার্কিন নারীরা বলছেন অভিজ্ঞতা ধর্ষণের মতো

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক ১৬ জন নারীর একজন বলেছেন, তাদের কিশোরী বয়সে প্রথম শারীরিক সম্পর্কের অভিজ্ঞতা ছিল ধর্ষণের মতো। ওই বয়সে তারা জোরপূর্বক অথবা বাধ্য হয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। এর ফলে অনেকেই স্থায়ী শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের এক জরিপে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন সরকারের জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ১৩ হাজার ৩১০ জন নারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়। গত সোমবার জামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে জরিপের এই ফলাফল প্রকাশিত হয়।

মোটাদাগে নারীরা প্রথম শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। যদিও গবেষকরা ওই নারীদের কাছে জানতে চাননি যে, তারা শারীরিক সম্পর্কে জোরপূর্বক লিপ্ত হয়েছিলেন কি-না।

জরিপে অংশ নেয়া প্রায় সাত শতাংশ নারী বলেছেন, তাদের প্রথম যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা ছিল অনিচ্ছাকৃত। গড়ে প্রায় ১৫ বছর বয়সের মধ্যেই তারা যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছিলেন এবং পুরুষ সঙ্গীরা ছিল তাদের চেয়ে বেশ কয়েক বছরের বড়।

ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া নারীদের প্রায় অর্ধেকই বলেছেন, এ জন্য তাদের চাপপ্রয়োগ করা হয়েছিল। ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার জন্য মৌখিক হুমকিও দেয়া হতো এই নারীদের।

হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষক এবং ওই জরিপের প্রধান ডা. লাওরা হকস বলেন, যেকোনো ধরনের যৌন সম্পর্ক; যদি কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়, তাহলে সেটি ধর্ষণ। যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়ার জন্য যদি কাউকে মৌখিক চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে সেটিও ধর্ষণ।

জোরপূর্বক কিংবা বাধ্য হয়ে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া নারীরা পরবর্তীতে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এর ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং গর্ভপাতের কারণে তাদের অনেক শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেসব নারীর প্রথম শারীরিক সম্পর্ক জোরপূর্বক ছিল না তাদের চেয়ে ওই নারীদের যৌনাঙ্গে ব্যথা এবং মাসিক অনিয়মিত হয়েছে।

এসএইচ-২০/১৭/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)