হিন্দু তরুণীকে অপহরণ-ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর হত্যা

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধের এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে তাকে বিয়ের ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই প্রদেশের এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তরুণীর পরিবার দাবি করেছে, তাদের মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর হত্যা করা হয়েছে।

সিন্ধ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুণীর নাম নমরিতা। তিনি একটি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। নিখোঁজ হওয়ার একমাস পর মুখ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নির্জন একটি বাড়ির বদ্ধ কক্ষ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রাদেশিক সরকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খুন নয় এটি আত্মহত্যা। তবে কর্তৃপক্ষের এমন দাবি মানতে নারাজ তরুণীর পরিবার। তাদের দাবি নমরিতাকে অপহরণ করা হয়েছে একমাস আগে। তারপর তাকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর হত্যা করা হয়েছে।

মেডিকেল কনসালট্যান্ট নমরিতার ভাই বিশাল বলেছেন, প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এটা দেখা যাচ্ছে নমরতিা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানে নিয়মিতই হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান নারীদের এমন অমানবিকতার শিকার হতে হয়।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সিন্ধ ফাউন্ডেশনের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিবছর পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ১২ থেকে ২৮ বছর বয়সী প্রায় এক হাজার হিন্দু নারী অপহৃত এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়।

এসএইচ-১৪/১০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)