প্রেমের টানে বাংলো ছাড়া ‘পুচু’

সরকারি বাংলো। রয়েছে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজার হালে থাকত সে। খাওয়া-দাওয়া, যত্ন-আবদারে কমতি ছিল না তার। তারপরও তার মন টিকল না বাংলোতে। প্রেমিকাকে নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে সে। তাকে খুঁজতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে মালিক।

এতক্ষণ যার কথা বলা হলো তার পুচু। বিড়ালটির মালিক ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি)। তার মেয়ে আদর করে বিড়ালটির নাম রেখেছে পুচু। কিন্তু কয়েক দিন ধরে শখের বিড়ালটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

আদরের পোষ্য নিখোঁজ হওয়ায় মন ভালো নেই জেলা প্রশাসকের মেয়ে উর্নিতার। কলকাতার একটি কলেজে পড়াশোনা করেন উর্নিতা। থাকেন হোস্টেলে। প্রিয় বিড়ালটির নিখোঁজের খবর পেতেই কলকাতা ছেড়ে মেদিনীপুরে ছুটে এসেছেন তিনি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ভাষ্য, ‘বিড়ালটা খুব ভালো ছিল। ওকে দেখতে এতটাই ভালো লাগত যে, আদর করতে ইচ্ছা করবে।’

প্রিয় পোষ্যের নিখোঁজ সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন উর্নিতা। তিনি লিখেছেন, ‘খোঁজ পেলে জানান প্লিজ।’

গত রোববার সকাল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না পুচুর। ওইদিন ছিল কালীপূজা। অনেক সময় আতশবাজির বিকট আওয়াজে পোষ্যরা ঘর ছাড়ে। তবে আলোচ্য বিড়ালটির ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। বরং এ ক্ষেত্রে সামনে আসছে ‘প্রেমের’ বিষয়টি। পুচু আসলে পুরুষ বেড়াল। জানা যায়, দিনকয়েক আগে জেলা প্রশাসকের বাংলোর চত্বরে প্রায়ই একটি মেয়ে বিড়ালের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু পুচু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সেই বিড়ালটিরও আর দেখা মেলেনি। তাই পশু চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, সম্ভবত প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছে পুচু!

পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) থাকার সময় বিড়ালটিকে বাসায় আনেন জেলা প্রশাসক উত্তম। তিনি জানান, মেদিনীপুরে আসার পরে একবার নিখোঁজ হয়েছিল পুচু। তবে সেবার দিনকয়েক পরই ফিরে এসেছিল সে। এ যাত্রায় কবে পুচু ঘরে ফিরবে সেই অপেক্ষায় মালিকের পরিবার।

এসএইচ-১৪/০১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)