বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত মেয়ের খেতাব পেয়েও সফল

লিজি ভালসাকেজ জন্মেছিলেন টেক্সাসের অস্টিনে ১৯৮৯তে। দেখতে রীতিমত ভয়ংকর, কুৎসিত, একটি চোখ অন্ধ। রঙ্গিন সভ্যতা স্বীকৃতি দিয়েছিলো তিনি বিশ্বের সবাচাইতে কুৎসিৎ মেয়ে!

সবাই বলতো- আত্মহত্যা করতে, সবার থেকে লুকিয়ে থাকতে, মুখ ঢেকে রাখতে। কিন্তু সেইসব কিছু কানে না নিয়ে তখনই নিজের জীবনের চারটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিলেন লিজি।

প্রথমত-একজন সুবক্তা হওয়া। দ্বিতীয়ত-নিজের লেখা বই প্রকাশ করা। তৃতীয়ত-স্নাতক অর্জন করা। চতুর্থত-নিজের কেরিয়ার ও পরিবার তৈরি করা।

সেই থেকেই গত সাত বছরে ২০০-র বেশি ওয়ার্কশপে বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। কীভাবে অভিনবত্বকে স্বীকৃতি দিতে হয়; বাধা, বিঘ্ন পেরিয়ে কীভাবে জীবনকে গ্রহণ করতে হয়; প্রতিকুল পৃথিবীতে ঘুরে দাঁড়াতে হয়; ভালোবাসতে হয়, এই সাত বছর ধরে সেই বিষয়ের ওপরই বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন লিজি।

২০১০এ লিজি লিখে ফেলেন তার আত্মজীবনীমুলক বই ‘”Lizzie Beautiful’; ২০১২ সালে দ্বিতীয় বই ‘Be Beautiful, Be You’-যা ব্যাপক সাড়া পায় বিশ্বে।

বইটির শুরুতে লিজি বলেন- ‘এপিয়ারেন্স নয়; মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে অর্জিত গুন দিয়ে’। এই বছরই প্রকাশিত হতে চলেছে তার তৃতীয় বই।

টুইটারে এ লিজির এক বন্ধু বলেছে- ‘This young woman is a very good example of what it means to be truly beautiful’ আরেক বন্ধু বলেছে- ‘লিজি কুৎসিত নয়। কুৎসিত হলো লিজিকে দেখার আমাদের চোখ’

লিজির মা বলেছেন- “I love Lizzie, I would be proud to be her mom”

অথচ সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হয়েও আমরা অল্পেতে হতাশ হয়ে পড়ি। নিজের রুপ-চেহারা আমাদের ভোগায়। Fair & lovely, LUX’র বিজ্ঞাপন দেখে হীনমন্যতায় ভুগি! রঙ্গিন কর্পোরেট বিশ্বে নিজকে অসহায় ভাবি। ভাবি-চেহারায় সব!!

ভবিষ্যৎ কখনো রুপ দিয়ে সাজানো যায় না। যার যার কর্মই পারে ভবিষ্যৎ কে সাজাতে।

এসএইচ-২৫/১৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)