পরীক্ষার নামে ছয় নারীকে চিকিৎসকের ধর্ষণ

ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে ছয় নারীর স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষার নামে ধর্ষণের দায়ে লন্ডনের একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক। বুধবার ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বলছে, অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও ব্রিটিশ চিকিৎসকের নাম মনীশ শাহ।

লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদালতের নথিতে বলা হয়, চিকিৎসক মনীশ শাহ তার চেম্বারে আসার পর রোগীদের প্রথমে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির গল্প শোনাতেন। বলতেন, কীভাবে স্তন প্রতিস্থাপন করে ক্যান্সারের বিপদ কাটিয়ে ফের সুন্দরী হয়ে উঠতে পেরেছেন হলিউড অভিনেত্রী। পরে জানতে চাইতেন, ক্যান্সারের বিপদ দূর করতে তারাও স্তন পরীক্ষা করাতে চান কিনা। রোগীরা রাজি হলে স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষার নামে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ করতেন তিনি।

ছয় জন নারী এই অভিযোগ এনে লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে চেম্বারে বসে তার রোগী দেখা বন্ধ করে দেয়া হয়।

মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মনীশের শাস্তি ঘোষণা করবেন। প্রসিকিউটর কেট বেক্স আদালতে বলেছেন, চিকিৎসক মনীশা এভাবে ক্যান্সারের ভয় দেখিয়ে নারী রোগীদের স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করতেন। পরীক্ষার প্রয়োজন না হলেও তিনি তা করতে বাধ্য করতেন।

আইনজীবী বেক্স আদালতে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের মে থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত পূর্ব লন্ডনের মওনে মেডিক্যাল সেন্টারে নিজের চেম্বারে এভাবে ছয়জন নারীর শ্লীলতাহানি ও তাদের ধর্ষণ করেন ৫০ বছর বয়সী চিকিৎসক মনীশ শাহ। ধর্ষণের শিকারদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।

শুধু এই ছয়টি অভিযোগই নয়, মনীশের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে একইভাবে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের আরও ১৭টি অভিযোগ রয়েছে লন্ডনের বিভিন্ন আদালতে।

এসএইচ-১৯/১১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)