বিস্ময় বালক স্নাতকের আগেই ছাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়!

স্নাতক পরীক্ষার তারিখ নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে নেদারল্যান্ডসের আইন্ডহোফেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন লরাঁ।

কারণ, স্নাতক শেষ করতে লরাঁর এখনো যতগুলো পরীক্ষা বাকি তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

৯ বছরের লরাঁ গত মাসেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, আগামী ২৬ ডিসেম্বর দশম জন্মদিনের আগেই এই বালক আইন্ডহোফেন ইউনির্ভাসিটির তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন। সেটা হলে তিনি হতেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ স্নাতক ডিগ্রিধারী। কিন্তু এখন ডিগ্রি পাওয়া দূরে থাক, ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করা নিয়েই তো গণ্ডগোল।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত সোমবার লরাঁ ও তার বাবা-মাকে ডেকে পরীক্ষার তারিখ নিয়ে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।

তারা বলেন, ‘লরাঁ ঈশ্বরের বিশেষ উপহার। সে অভূতপূর্ব গতিতে তার লেখাপড়ায় এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস তাকে এখনো যতগুলো পরীক্ষায় পাস করতে হবে, সেটা ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।’

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লরাঁকে পরীক্ষার যে সম্ভাব্য সময়সূচি দিয়েছে তাতে সব শেষ করতে আগামী বছর মাঝামাঝি হয়ে যাবে।

যদিও এ যুক্তি মানতে নারাজ লরেন্টের বাবা-মা। তারা বলছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ই যথেষ্ঠ। তাই তারা আইন্ডহোফেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করার এবং ছেলেকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

লরাঁর বাবা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহেও সব ঠিক ছিল। অথচ এখন তারা ছয় মাস বেশি সময় লাগার কথা বলছে।

‘লরাঁর পরীক্ষা তারিখ কখনোই ধর্তব্যের মধ্যে ছিল না। আজই দুইটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় তার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এখনো আমাদের হাতে যথেষ্ঠ সময় আছে।’

লরাঁর বাবা বেলজিয়ান এবং মা ডাচ। শিশু বয়সে দাদা-দাদির কাছে বেড়ে উঠা লরাঁ চার বছর বয়সে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হন।

বর্তমানে সবচেয়ে কম বয়সে স্নাতক ডিগ্রিধারী যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল করনি। ১৯৯৪ সালের জুনে মাত্র ১০ বছর চার মাস বয়সে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি গিনস বুকে নাম লেখান।

এসএইচ-২৫/১১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)