বাতাস থেকে খাওয়ার পানি!

ভারতের সেকেন্দ্রাবাদ রেল স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে বাতাস থেকে তৈরি এই পানি। প্রযুক্তির নাম মেঘদূত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্‍‌সাহে, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে এই প্রযুক্তি বানিয়েছে মৈত্রী অ্যাপটেক নামে একটি ভারতীয় সংস্থা। শহরের নামী পানির কোম্পানিগুলি যখন ১ লিটার পানি বেচছে ২০ টাকায়, এই পানি মিলছে অর্ধেকেরও কম দামে। এক লিটারের একটি পানির বোতলের দাম পড়ছে ৮ টাকা। ক্রেতা বোতল দিলে, মাত্র ৫ টাকাতেই মিলবে এক লিটার পানি।

বাতাস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করার এই প্রযুক্তি এক বছর আগেই আবিষ্কার করেন সৌদি আরবের বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি তাঁরা একটি ডিভাইস তৈরি করেন, যা বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারে। পরে সূর্যের তাপে তা আবার বাতাসে ছেড়ে দিতে পারবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে সব প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানির অভাব চরমে সেই সব এলাকায় দারুন সফল হবে নতুন এই যন্ত্র।

বিশ্বের বাতাসে মোট ১৩ ট্রিলিয়ন টন পানি রয়েছে। এই পানি খুব সহজের স্বচ্ছ পানীয় হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। এর আগে একাধিক উপায়ে পানি সংগ্রহ করার কাজ হলেও সবকটি খুব খরচ সাপেক্ষ ছিল। সম্প্রতি সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা নতুন এই ডিভাইস তৈরি করেছেন।

লবণ সবসময় চারপাশের বাতাস থেকে আদ্রতা সংগ্রহ করে তাকে পানিতে পরিণত করে বলে জানিয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী। এই যন্ত্রে লবণ ব্যবহার করে বাতাসের আদ্রতাকে পানিতে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড বাতাসের আর্দ্রতাকে পানিতে পরিণত করতে পারে। ‘তবে এই পানি থেকে লবণ সরাতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।’ বলে জানিয়েছেন ভারতীয় গবেষণা দলের বিজ্ঞানীরা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই যন্ত্রে হাইড্রোজেল ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডকে সলিড থাকতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও এই যন্ত্রে ব্যবহার হয়েছে ছোট কার্বোন টিউব। ৬০ শতাংশ আর্দ্রতায় ৩৫ গ্রামের একটি যন্ত্র একরাতে বাতাস থেকে ৩৭ গ্রাম পানি সংগ্রহ করেছে।

পরদিন সূর্য উঠলে এই পানি আবার বাতাসে ফিরে গিয়েছে। কম খরচে ভালো পারফর্ম করার জন্য নাম রয়েছে হাইড্রো জেলের। তাই এই ডিভাইসে হাইড্রো জেল ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনও এই ডিভাইস বাণিজ্যিক ভাবে তৈরির পরিকল্পনা হয়নি। ভারতীয় এই সংস্থাটি কীভাবে বাতাস থেকে জল তৈরি করছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

এসএইচ-০২/১৯/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)