বন্ধুকে পুড়িয়ে মারলো বন্ধু

নৃশংস ভাবে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হলো এক যুবকের দেহ। বৃহস্পতিবার নিমতার ফতুল্লাপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জসিম শেখ ওরফে সেকুর (৩০) দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেকুর বন্ধু নৌসাদ শেখ ওরফে বারুদকে। তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে জেনেছেন, মাত্র হাজার টাকা নিয়ে বিবাদে এই নৃশংস খুনটি করেছে নৌসাদ। দেহ জ্বালানোর আগে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় সেকুকে।

আদতে বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা সেকু কর্মসূত্রে স্ত্রীকে নিয়ে ফতুল্লাপুরে থাকতেন। স্ত্রী রেণুর বক্তব্য, বুধবার বিকেলে কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সেকু। সে সময়ে বারুদ তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। এই বারুদই সেকুর থেকে হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে দাবি রেণুর। বারবার বলা সত্ত্বেও বারুদ টাকা ফেরাচ্ছিলেন না। এক ব্যক্তির থেকে পাওনা ১০০ টাকা আদায়ের কথা বলে বারুদ বাড়ি থেকে সেকুকে ডেকে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ফোনটি বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন সেকু।

গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী না-ফেরায় রেণু ফোন করেন বারুদকে। বারুদ জানান, তিনি ফিরে এসেছেন। সেকুর খবর জানেন না। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীদের থেকে রেণু খবর পান, বাড়ির কাছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে অগ্নিদগ্ধ একটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। রেণু গিয়ে দেহের পাশে পড়ে থাকা জুতো দেখে সেকুকে শনাক্ত করেন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, সেকুকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি জমিতে বসে মদ্যপান করেন বারুদ। মদ খেয়ে প্রায় বেহুঁশ হয়ে যান সেকু। তখন পাওনা হাজার টাকা নিয়ে দু’জনের গোলমাল হয়। তখনই খুন করা হয় সেকুকে। পুলিশের বক্তব্য, এই খুন পরিকল্পনামাফিক হতে পারে।

আকণ্ঠ মদ্যপান করিয়ে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। গলায় ধারালো অস্ত্রের দাগ পাওয়া গিয়েছে। এর পরে জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা এ-ও বলছেন, বারুদের একার পক্ষে এত নিখুঁত ভাবে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বারুদকে গ্রেপ্তার করেছে নিমতা থানার পুলিশ।

এসএইচ-০৭/১৭/২০ (অনলাইন ডেস্ক)