থানায় বসেই ছাত্র পড়ান পুলিশ কর্মকর্তা

দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের পুলিশ বাহিনী নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও পুলিশ নিজেই জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।

পুলিশকর্মীরা শুধুই যে চোর–ডাকাত ধরতে ব্যস্ত থাকেন, তা নয়। কেউ কেউ দুষ্টের দমনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও ভাবেন। এমনই উদাহরণ ভারতের রিষড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর দত্ত। কাজের ফাঁকে সময় বের করে এলাকার দুঃস্থ স্কুলপড়ুয়াদের তিনি পড়িয়ে চলেছেন নিঃস্বার্থভাবে।

গত ৬ মাস ধরে থানারই দোতলায় একটি ঘরে নিঃশব্দে চলছে পড়াশোনা। এই মুহূর্তে সেখানে নিয়মিত পড়ছে ১৭ জন ছাত্রছাত্রী। কেউ নবম শ্রেণির, কেউ দশমের। কেউ থাকে শ্রীরামপুর, কেউ বা রিষড়ায়। প্রবীরবাবু ওদের অঙ্ক, ভৌত বিজ্ঞান ও জীবন বিজ্ঞান দেখিয়ে দেন।

প্রবীরবাবু জানান, এই কাজের পেছনে তার স্ত্রী সঞ্চিতারও অবদান রয়েছে। তিনিও ওদের অঙ্ক পড়ান। এছাড়া থানার মহিলা কনস্টেবল মনিকা বিসুই ও সিভিক ভলান্টিয়ার দেবাশিস দাস সময় বের করে অন্যান্য বিষয়গুলিও দেখিয়ে দেন ছাত্রছাত্রীদের। প্রতি রোববার ও বুধবার সন্ধা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে পড়ানো।

পড়ুয়াদের মধ্যে রিষড়া গার্লস স্কুলের ছাত্রী পূরবী রাউত এবার নবম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় হয়ে দশমে উঠেছে। স্কুল থেকে পাওয়া বইগুলি ছাড়াও ওদের অন্যান্য বই, খাতা, পেন–সহ পড়াশোনার সকল সামগ্রী থানা থেকেই দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বিনা পারিশ্রমিকে ওদের আবৃত্তি, নাচ, আঁকা এবং ক্যারাটে শেখানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড় হয়ে কিছু করে দেখাতে চায় বলে জানায় পড়ুয়া সবিতা, কোয়েল, অভীকরা।

এসএইচ-০৯/১৮/২০ (অনলাইন ডেস্ক)