পুলিশকে গণধোলাই

স্কুলের মধ্যেই দুই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে কাঠগড়ায় পুলিশ কর্মী। ছাত্রীদের চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে স্কুলের অফিসরুমে আত্মগোপন করে ওই পুলিশ কর্মী। উত্তেজিত জনতা ওই পুলিশকর্মীকে টেনে হেঁচরে বের করে গণপিটুনি দেয় বলে। এমনকী পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র্ণে আনে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ভারতের হাড়োয়া এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

গনপিটুনির ঘটনায় রাতেই কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।অন্যদিকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার।

স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে, ভারতের হাড়োয়া এলাকার মোহনপুর অঞ্চলের মোহনপুর এম সিএইচ হাই স্কুলে ছাত্র-যুব অনুষ্ঠান চলছিল। শুক্রবারই ছিল সেই অনুষ্ঠানের শেষদিন। সন্ধ্যের দিকে সেখানে অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের এএসআই জাহাঙ্গীর হোসেন গাজী কর্তব্যরত ছিলেন।অভিযোগ, সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে স্কুলের ভিতরে ক্লাসরুমে কুপ্রস্তাব দেয় ওই পুলিশ কর্মী। এমনকী তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। এর প্রতিবাদ করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

তবে উপস্থিতি ছাত্রীদে্র একাংশের দাবি, অনুষ্ঠান শেষে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী ওই দুই ছাত্রীর কাছে জল খেতে চান। জল এনে দিলে নানা অছিলায় তাদের স্কুলের দোতলায় ডেকে নিয়ে যায় ওই পুলিশ কর্মী। সেখানেই এএসআই জাহাঙ্গির আলম তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সেইসময় ওই ছাত্রীদের চিৎকারে্ গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। সেইসময় নিজেকে বাঁচাতে স্কুলের অফিস রুমে ঢুকে পড়ে ওই এএসআই। এমনকী আলমারির পিছনে লুকিয়েও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

গ্রামবাসীরা তাকে বের করে এনে ব্যাপক মারধর করে। চলে চড়-থাপ্পর-কিল-ঘুষি। এমবকী পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে হাড়োয়া থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স এসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গনপিটুনির অভিযোগে রাতেই কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভারতের হাড়োয়া থানার পুলিশ।

এসএইচ-১৭/১৮/২০ (অনলাইন ডেস্ক)