হাসপাতাল থেকে পালালেন

রাশিয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এক নারীকে হাসপাতালে পৃথক করে রাখা হয়েছিল; সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। এরপর থেকেই কার্যত গৃহবন্দি ওই নারীকে এখন আবার হাসপাতালে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আলা লিনা নামের ৩২ বছরের ওই নারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজের ফ্লাটে অবস্থান করছেন, পুলিশের নজরদারিতে থাকলেও কক্ষের দরজা খুলছেন না তিনি।

গত মাসে চীন থেকে ফেরেন লিনা। তিনি জানিয়েছেন- ৬ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এরপরও তাকে হাসপাতালে ‘কোয়ারেন্টাইন’ করে রাখতে বলা হয়।

হাসপাতালের দরজার ইলেকট্রনিক লক অক্ষম করে দিয়ে পালিয়ে যান একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক করা এই নারী।

ইনস্টাগ্রামে লিনা জানান, গলাব্যথা নিয়ে ৩০ জানুয়ারি চীন থেকে রাশিয়ায় ফেরেন তিনি। ৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে একটি হাসপাতালে যান। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার কোনও অস্তিত্ব না পাওয়ার পরও দুই সপ্তাহ তাকে হাসপাতালের ‘কোয়ারেন্টাইন’ জোনে থাকতে বলা হয়।

তিনি বলেন, তিনটি পরীক্ষাতেই দেখা গেছে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। এরপরও আমাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কেন?

লিনা জানান, এর পরদিন ইলেকট্রনিক লককে অক্ষম করে দিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালান তিনি। কীভাবে হাসপাতাল ছেড়ে পালাবেন; কোন ভবন দিয়ে, তারও একটি ম্যাপ আঁকেন তিনি।

হাসপাতাল থেকে পালানোর এক সপ্তাহের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না নিলেও এখন আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে থাকতে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এতে এখন পর্যন্ত ১৩৮০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে; আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৭৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

এসএইচ-০৯/১৪/২০ (অনলাইন ডেস্ক)