নবান্ন-শপিংমল-ক্লাবে ঘুরে বেড়ান করোনায় আক্রান্ত তরুণ

রোববার লন্ডন থেকে ফিরেছেন। তারপর মঙ্গলবার, ১৭ তারিখ, বেলেঘাটা আইডি-তে ধরা পড়ে লন্ডন ফেরত ওই তরুণের শরীরে নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। তারপরই ওই যুবককে বেলেঘাটা আইডি-র আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেওয়া হয়।

একইসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয় ওই তরুণের পরিবারের সবাইকে ও গাড়িচালকেও। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। অন্যদিকে, পরিবারের লোকেদের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের তরফে পুনে নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যার রিপোর্ট আজই আসবে।

এদিকে ক্ষোভে অভিযোগে ফুঁসছেন ওই তরুণের পরিবার যে আবাসনে থাকেন, তার বাসিন্দারা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, লন্ডন থেকে ফেরার পর চৃড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন ওই তরুণ ও তাঁর পরিবার।

জানা গিয়েছে, রোববার এয়ারপোর্টে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর তাঁকে বেলেঘাটা আইডি-তে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও বিমানবন্দর থেকে সোজা মায়ের সঙ্গে বাড়ি চলে আসেন। তারপর সোমবার, ১৬ তারিখ, সকালে আবাসনে বেরিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন।

সেখান থেকে বাড়ির লোকের সঙ্গে এম আর বাঙুর হাসপাতালে যান। অভিযোগ, মায়ের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসক দেখান তিনি। সেখান থেকেও তাঁকেও বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তরুণ সাফ জানায়, ‘আমি ভর্তি হব না।’

এরপরই মায়ের সঙ্গে নবান্নে আসেন ওই তরুণ। নবান্নে ঘোরাফেরা করেন। এমনকি তারপর মায়ের সঙ্গে মহাকরণেও যান। জানা যাচ্ছে, তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই তরুণ শপিং মলে যান। পাশাপাশি, আরও জানা যাচ্ছে পার্ক স্ট্রিটের একটি ক্লাবেও গিয়েছিল ওই তরুণ। তারপর আবাসনে ফিরে ফের ওই তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে একদফা আড্ডা মারেন।

পার্ক স্ট্রিটের ক্লাবে ওই তরুণের যাওয়ার খবর সামনে আসতেই পুলিস ইতিমধ্যে ওই ক্লাবে গিয়ে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, সোমবার নবান্নে গিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরেও গিয়েছিলেন ওই তরুণ। এরপরই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে, সতর্কতা মেনে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন সস্ত্রীক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসএইচ-১৪/১৯/২০ (অনলাইন ডেস্ক)