এক ছিপি গোমূত্র পান করে হাসপাতালে ব্যবসায়ী

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মারণ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে গোমূত্র পান করেছে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের এক যুবক। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা শিবু গরাই গোমূত্র পান করে বড় ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।

গোমূত্র পান করলেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে, কার্যত এই বার্তাকেই সামনে রেখে ক’দিন আগেই দিল্লিতে গোমূত্র পার্টির আয়োজন করে হইচই ফেলে দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। এরপর পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনিতে গোমূত্র ও গোবর বিক্রি করতে দেখা যায় এক ব্যবসায়ীকে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি রায়গঞ্জে গোমাতা পুজা ও গোমূত্র পান কর্মসূচির আয়োজন করে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে গোমূত্র পান করে অসুস্থতার ঘটনা নতুন মাত্রা এনে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, অসুস্থ ওই ব্যক্তির নাম শিবু গড়াই। তার বয়স ৪২ বছর। ঝাড়গ্রাম পুর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকার বাসিন্দা। কাপড়ের ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি গত দুই সপ্তাহ আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুর বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ৪০০ মিলিগ্রামের গোমূত্রের একটি বোতল কিনেছিলেন ১৫০ টাকা দিয়ে।

মারণ ভাইরাসের থেকে সতর্কতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে সেই বোতল থেকে এক ছিপি গোমূত্র তিনি পান করেছিলেন তিনি। এরপরই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন ওই যুবক। তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ওই যুবক শিবু জানান, এক ছিপি গোমূত্র পান করার পরই প্রচন্ড বুক জ্বালা ও পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। লোকের কাছে শুনে ও টিভিতে দেখে গোমূত্র পান করেছিলাম। খুব ভুল করেছি। অন্ধবিশ্বাসে ভেবেছিলাম, গোমূত্র প্রতিষেধকে কাজ করবে। অসুস্থ হয়ে বুঝেছি কী ভুল করেছি। করোনা ঠেকাতে গোমূত্র পান করে আমার মতো ভুল যেন আর কেউ না করে।

গোমূত্র পান বিজ্ঞানসম্মত নয় উল্লেখ করে ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, এই ধরনের বর্জ্য থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল থাকে। সম্ভবত সেখান থেকে কোনওরকম সমস্যা হয়েছে।

এসএইচ-১৭/১৯/২০ (অনলাইন ডেস্ক)