ট্রাকে তুলে সরানো হচ্ছে সারি সারি মৃতদেহ (ভিডিও)

মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে দিনকে দিন। করোনা চেনে না আপন-পর, শক্রু-বন্ধু, রাজা-প‌্রজা, ধনী-দরিদ্র, কোনো ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাত নির্বিশেষে।চীন ছাপিয়ে ইতালি-স্পেন এবংযুক্তরাষ্ট্র এখন নিস্তব্ধ মৃত্যুপুরী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক হাসপাতালের বাইরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাকে মরদেহ তোলার একটি ভিডিও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে, গত রোববারই ব্রুকলিন হসপিটালের একজন নার্স একটি ছবি শেয়ার করেছেন, তাতে দেখা যায়- ট্রাকে মরদেহ সারি করে রাখা আছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাত ঘণ্টায় ৯৮ জনের মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক হসপিটাল থেকে মরদেহগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাক ব্যবহার করা হয়। নিউইয়র্কের মেয়র কড়া সতর্কতা জানিয়ে বলেছেন, কেউ বাড়িতে অবস্থান না করলে পাঁচশ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালের কর্মীরা ট্রাকে মরদেহ তুলে দিচ্ছেন। ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে গাড়িতে বসে। ম্যানহাটনের যে নার্স আরেকটি ছবি শেয়ার করেছেন, সেটা অন্য হাসপাতালের।

নিউইয়র্ক শহরের বেশিরভাগ হাসপাতালের লাশঘরে আর নতুন করে মরদেহ রাখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, হোয়াইট হাউসের পরিচিত মুখ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, অন্য শহরেও স্বল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের সঙ্কট দেখা দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের পর বিপাকে পড়ার শঙ্কা রয়েছে লুইসিয়ানা রাজ্যের নিউ ওরল্যান্স শহর। ডেট্রইট এবং লস অ্যাঞ্জেলস শহরও বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।

এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে গত রোববার তিনি বলেছেন, যদি দুই লাখের কম মানুষ মারা যাওয়ার মধ্য দিয়ে মহামারি শেষ হয়, তাহলে তিনি একটি ভালো কাজ করবেন।

এদিকে, উহানে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও ইতালি আর স্পেন যেমন করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে গত একদিনে নতুন করে ৩৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬৪ হাজার দু’শ ৫৩ জন। মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে তিন হাজার একশ ৬৫ জনে ঠেকেছে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় আছেন তিন হাজার দু’শ ১২ জন। গত একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে।

এসএইচ-১৪/৩১/২০ (অনলাইন ডেস্ক)