কুকুর-বাদুড়ের মাংস খাওয়া শুরু

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ২০২টি দেশ ও অঞ্চল। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। মারাও যাচ্ছে হাজারে হাজারে। প্রতিনিয়তই লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, লাশের সারি। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৮ লাখ ছাড়িয়েছে (৮,৫৭,৮৫০)। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ১৩০ জন। বিজ্ঞানীদের ধারণা বাদুড়ের মাংস থেকেই প্রথম করোনা ছড়িয়েছিল। উহান প্রদেশের মাংসের বাজারগুলিই প্রথম করোনার এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল।

এরপরও করোনা মহামারি থেকে শিক্ষা নেয়নি চীন। মারণ ভাইরাসের প্রকোপ খানিকটা কমতেই আবার স্ব-মহিমায় ফিরছে চীনের মাংস বাজারগুলি। আগের মতোই দেদার বিকোচ্ছে বাদুড়, কুকুর, প্যাঙ্গোলিনের মাংস। যা কিনা মহানন্দে উপভোগ করে চীনারা। আমেরিকার একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতেই আগের মতোই কুকুর-বাদুড়ের মাংস খাওয়া শুরু হয়ে গেছে চীনে।

ওই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,’করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আগে যেভাবে বিক্রি হত ঠিক সেভাবেই বাজারে ফের বাদুড়, প্যাঙ্গোলিন ও কুকুরের মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে।’ আরও বিপজ্জনক বিষয় হল, এবারে এই বাজারগুলোর উপর কড়া নজর রাখছে চীনা প্রশাসন। কোনওভাবে যাতে কেউ ছবি তুলে না নিয়ে যেতে পারে, বা এই পশুর মাংসের ছবি যাতে বাইরে না যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই নজরদারি চালানো হচ্ছে। চীনের বাজারে নতুন করে কুকুর-বাদুড়ের মাংস বিক্রির খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তায় গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল।

কারণ, বিজ্ঞানীদের ধারণা এই বাদুড়ের মাংস থেকেই প্রথম করোনা ছড়িয়েছিল। ইউহান প্রদেশের মাংসের বাজারগুলিই প্রথম করোনার এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল। নতুন করে এই মাংসের বাজার খুললে নতুন করে করোনার সংক্রমণ হতে পারে। আর এবার যদি নতুন করে সংক্রমণ হয়, তবে তা আগের থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক হবে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।

করোনা ভাইরাসের দাপট সবার প্রথমে দেখা যায় চীনের উহান প্রদেশে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসে। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাসটি। আপাতত চীনে এর সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রভাব মারাত্মক। চীনে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়া চার মাস হয়ে গেছে। আগের মতো প্রকোপ একেবারেই দেখাতে পারছে না। আর তাতেই চীনাদের মনে হওয়া শুরু হয়েছে, করোনা এখন অতীত। চীনে আর এর প্রভাব পড়বে না। এই মানসিকতাকে বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজ্ঞানীরা।

এসএইচ-২০/০১/২০ (অনলাইন ডেস্ক)