ঘরে থাকলেই মিলবে শাড়ি!

ভারতে করোনাভাইরাসের কারণে গোটা দেশ এখন লকডাউন। মানুষজনও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এরপরও জীবনের তাগিদে কেউ বের হলে কখনও কড়া ভাবে, কখনও আবার বুঝিয়ে লকডাউনে সকলকে ঘরে থাকার আবেদন করেছে পুলিশ-প্রশাসন।

এবার বনগাঁর আদিবাসী অধুষ্যিত মুড়িঘাটার বাসিন্দাদের ঘরবন্দি রাখতে অন্য ফন্দি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার আরটিও বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ। ঘোষণা করলেন, গ্রামে করোনা প্রবেশ করতে না পারলে সব মহিলা পাবেন নতুন শাড়ি।

দেশ ও রাজ্যের পরিস্থিতি জানা সত্ত্বেও প্রতিদিনই কিছু মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। কেউ প্রতিদিনের অভ্যাসবশত ঢুঁ মারছেন চায়ের দোকানে। কেউ আবার লকডাউনকে ছুটি হিসেবে গণ্য করে হাজির হচ্ছেন বন্ধুদের মাঝে।

আর কিছু মানুষ যাদের বের হতে হচ্ছে পেটের দায়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা জানেন না এই মারণ ভাইরাসের ক্ষমতা আসলে কতটা। এমনই বনগাঁর আদিবাসী অধুষ্যিত মুড়িঘাটার বাসিন্দারা। লোকমুখে হয়তো শুনছেন করোনার নাম, কিন্তু অনুমানও করতে পারছেন না ভয়াবহতা। তাই নিয়মিত হাটে-বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামবাসীরা ব্যবসার জন্য।

এই খবর কানে যেতেই নড়েচড়ে বসেন উত্তর ২৪ পরগনার আরটিও বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ। চাল, ডাল, তেল, লবন নিয়ে ওই গ্রামে হাজির হন গোপাল বাবু। প্রায় ৪০০ আদিবাসী পরিবারের হাতে তুলেদেন খাদ্যসামগ্রী। সকলকে বোঝান যে কীভাবে করোনা সংক্রমিত হয়। এরপরই লকডাউনে গ্রামবাসীদের ঘরে আটকে রাখতে ফন্দি আঁটেন তিনি। বলেন, আপনারা যদি সচেতন থাকেন।

এই কদিন ঘরে থাকেন তাহলে কোনও ভাবেই কেউ করোনা আক্রান্ত হবেন না। আর যদি কেউ আক্রান্ত না হন তাহলে প্রত্যেকে উপহার পাবেন নতুন শাড়ি। কিন্তু একজনের শরীরেও যদি ভাইরাস মেলে তাহলেই কেউ শাড়ি পাবেন না। সমস্বরে ঘরে থাকতে রাজি হয়ে যান সকলে। কিন্তু আদৌ গোপাল বাবুর এই প্রলোভন ওই প্রত্যন্ত গ্রামকে করোনার থাবা থেকে বাঁচাতে পারে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। গোপালবাবুর এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সবমহল।

এসএইচ-২৩/০৬/২০ (অনলাইন ডেস্ক)