মাত্র ৬ টাকায় রাতারাতি কোটিপতি

দোকানে দোকানে দুধের প্যাকেট সরবরাহ করে যে আয় হতো তাতে কোনোরকমে সংসার চালিয়ে নিতেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার উত্তর ঝাঁপরদহ গ্রামের বাসিন্দা শক্তি দাস। করোনাভাইরাস মহামারিতে লকডাউনের সময় অভাবের সংসারে নেমে এসেছিল তীব্র অনটন। দুধের প্যাকেট সরবরাহ করে মাসে খুব অল্প আয় হতো তার।

ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে মাত্র ৬ টাকায় একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই শক্তি দাস লটারিতে প্রথম পুরস্কার জিতে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেলেন।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, গত শনিবার হাওড়ার এক লটারির দোকান থেকে রাজ্য সরকারের ডিয়ার লটারির ৫টি টিকিট ৩০টাকা দিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। লটারির প্রতিটি টিকিটের দাম ছিল ৬টাকা। পাঁচটি টিকিটের একটি সিরিজ কিনেছিলেন শক্তি দাস। সেদিনই লটারির ড্র হলেও কোনও কোনও খোঁজ নেননি তিনি।

কিন্তু পরের দিন সেই দোকানে টিকিট মেলাতে গিয়ে নিজের দু’চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না দুধ বিক্রেতা শক্তি দাস। তার কেনা লটারির টিকিটই যে প্রথম পুরস্কার জয়ী হয়েছে! আনন্দে দু’চোখ ভরে আসে পানিতে।

তিনি বলেন, একসঙ্গে ১ লাখ টাকা কোনোদিন চোখে দেখিনি। সেখানে ১ কোটি টাকা জিতে গেলাম কীভাবে! এটা কোনোভাবেই ভাবতে পারছি না।

এই টাকা দিয়ে কী করবেন তা এখনও ঠিক করেননি দুধের প্যাকেট সরবরাহকারী শক্তি। তবে এই টাকায় একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে চান তিনি। সেই সঙ্গে বৃদ্ধা মা-সহ পরিবারের সব সদস্য যেন ভালোভাবে দিন পারি দিতে পারেন; সেব্যবস্থা করতে চান হাওড়ার শক্তি দাস।

এসএইচ-০২/২৬/২০ (অনলাইন ডেস্ক)