ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন কলা! যাদের রিলেশন অলরেডি ব্রেকাপ হয়ে গেছে। গালফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড চলে যাওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে ছ্যাঁকা দিয়ে গেছে! আর সেসব কথা ভাবলেই বুকের বাম পাশটা কষ্টে চিনচিন করে ওঠে। ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে ভেউভেউ করে কাঁদতে ইচ্ছে করে।
তাদের জন্য আমার ফ্রী এডভাইস হলো- “কলা খান, ডিপ্রেশন কাটান”। আর বফ/গফকে বলে দিন “টাটা বাই বাই, আমি আর হারাম রিলেশনে নাই, বসে বসে কলা খাই, স্রষ্টার গুণগান গাই!”।
জ্বি হ্যাঁ পাঠক, আজগুবি নয়। সত্যি শুনছেন। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে কলা খেতে পারেন।
কারণ কলাতে থাকে “ট্রিপ্টোফ্যান প্রোটিন”। এই প্রোটিন “সিরোটোনিন” হরমোনে পরিনত হয়। সিরোটোনিন হরমোনকে “হরমোন অফ হ্যাপিনেস” বলা হয়। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভালো থাকে এবং রিল্যাক্স বোধ হয়। ডিপ্রেশন হাল্কা হয়ে যায়। মনটা ফুরফুরে লাগে।
এছাড়া কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডিপ্রেশনে পাশে রাখুন এক কাঁদি ফরমালিন মুক্ত কলা। চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে গিলুন আর মনে মনে বলুন “আলহামদুলিল্লাহ”।
কলা খেয়ে শুধু তাকে ভোলা! কিংবা ঠান্ডা করবেন গলা! তা কিন্তু না। এরই সাথে সাথে কলার ক্রিয়েটরের নিপুণ মেকানিজমের কথাও একটু চিন্তা করবেন।
কলা হাতে নিয়ে একটাবার ভেবে দেখুন না, এটাকে কি চমৎকার হলুদ রঙের নরম প্যাকেট করে আপনার রব আপনার জন্য বানিয়েছেন। ছিলে খেতে যাতে সহজ হয় এজন্য চারপাশে চারটি ভাঁজ দিয়ে দিয়েছেন। ভাঁজে ভাঁজে ছিলে শুধু গেলার অপেক্ষা! আবার আপনি খাওয়ার আগেই গাছ থেকে যাতে খসে না পরে এজন্য এর বোটাকে করেছেন শক্ত!
শুধু তাই না, কলাকে তিনি খুব শক্তও করেননি, খুব নরমও করেননি। দিয়েছেন চমৎকার সুঘ্রাণ, মিষ্টতা আর শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব উপকারিতা।
এতে রয়েছে –
ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, শর্করা, ভিটামিন ও আমিষ।
• কলায় থাকা আয়রন হিমোগ্লবিন তৈরী করে। ফলে রক্ত শুন্যতা কমে।
• কলায় আছে সহজে হজম যোগ্য শর্করা,যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তি দুর করে।
• হজমে সাহায্য করে কলা।
• এ্যাসিডিটি বা গ্যাস্টিক আলসারের রোগীদের জন্য কলা খুব উপকারী।
• কলা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে তেমনি পাতলা পায়খানাও দুর করে।
• বাতের ব্যথার জন্য কলা বেশ উপকারী।
• কলার পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
• কলা স্ট্রোকের ঝুকি কমায়।
• পাকা বীচি কলার বীজ কৃমিনাশক।
এগুলো তো দূরের কথা, এতো এতো নেয়ামতের ভীড়ে কলা খেয়ে ক্ষুধার জ্বালা যে দূর হয় সেটারই শুকরিয়া কই আমাদের?
এসএইচ-১৩/১২/২০ (অনলাইন ডেস্ক)