চাকরি ছাড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ (৫৬)। নতুন দায়িত্ব পালনে স্ত্রীকে সাহায্য করতেই চাকরি ছাড়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বচিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট। ওই শপথ অনুষ্ঠানের আগেই হ্যারিসের স্বামী চাকরি ছাড়বেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ ডগলাস এমহফ পেশায় একজন আইনজীবী। ২০১৭ সাল থেকে ‘ডিএলএ পাইপার’ নামে আইন বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম শেয়ারহোল্ডার তিনি।
ডিএলএ পাইপার নামের প্রতিষ্ঠানটিতে মূলত বিনোদন, খেলাধূলা ও সংবাদমাধ্যম বিষয়ক মামলাগুলোর দেখভাল করতেন হ্যারিসের স্বামী।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল এখনও পর্যন্ত মেনে নেননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আইনি পথেই এর ফায়সালা হবে। তবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের আইনি ব্যবস্থার হুমকিতে কিছুই থেমে থাকবে না।
ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাম্প শিবিরের মামলার প্রেক্ষিতে বাইডেন বলেন, কোনও কিছুই ক্ষমতা হস্তান্তরকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। যাই ঘটুক না কেন, ২০ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে; সে ব্যাপারে এরইমধ্যে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়া বিব্রতকর।
রয়টার্স/ইসপোস পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুললেও যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ এটি বিশ্বাস করে না। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৮০ ভাগই বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিয়েছেন। এই ৮০ ভাগের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক।
২০ জানুয়ারি সম্ভাব্য শপথ গ্রহণের পর নিজ প্রশাসনের অগ্রাধিকার তালিকা নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাইডেন। অন্যদিকে বাইডেনের এই ঘোষিত বিজয়কে উল্টে দিতে বড় ধরনের কোনও প্রমাণ ছাড়াই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলছেন ট্রাম্প। ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে এরইমধ্যে ট্রাম্প শিবিরের পক্ষ থেকে ডজনখানেক মামলা করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার কথা। এর আগেই বিদায়ী ও আসন্ন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিতে হয়। তবে ট্রাম্প এখনও হার মেনে না নেওয়ায় সেই সমন্বয়ের প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। সোমবার বাইডেন শিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা।
এসএইচ-১৮/১২/২০ (অনলাইন ডেস্ক)