ভারতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করে সন্তোষ কুমার নামে এক যুবককে জেলে পাঠিয়ে বিপাকে পড়েছেন চেন্নাইয়ের এক তরুণী ও তার পরিবার। উল্টো সন্তোষের মানহানির মামলায় ১৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, পারিবারিকভাবে সন্তোষের বাবার বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে দুই পরিবারের সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। সেই সময় বেসরকারি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন সন্তোষ।
মেয়েটির পরিবার অভিযোগ করে, তাদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা এবং সেই সন্তানের বাবা সন্তোষ। তবে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সন্তোষের পরিবার জানিয়ে দেয় ওই মেয়ের সঙ্গে সন্তোষের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এরপর ২০১০ সালে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে মামলা করেন মেয়ের পরিবার।
পুলিশ সন্তোষকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে। ৯৫ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর সন্তোষ ২০১০ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। এর মধ্যে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় মেয়েটি। ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায় সন্তানটি সন্তোষের নয়। এরপর ছয়বছর মামলা চলার পর ২০১৬ সালে ভারতের মহিলা আদালত সন্তোষকে বেকসুর খালাস দেন।
এই ঘটনায় ৩০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করে সন্তোষ পাল্টা মানহানির মামলা করেন অভিযোগকারী তরুণী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত আদালত মামলার শুনানি শেষ করে ১৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেষ দেন।
এসএইচ-১৪/২১/২০ (অনলাইন ডেস্ক)