মানবতার পথে প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার বৈঠা বেয়ে ছোটেন যে নারী

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার নৌকা চালিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিতে তাদের দ্বারপ্রান্তে ছুটে যান রেলু ভাসাভি। তিনি একজন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী। ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদুরবার এলাকার এই নারী স্বাস্থ্যকর্মীর কর্তব্যপরায়ণতার গল্প অবাক করার মতো।

রেলু ভাসাভি মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকার বাসিন্দা। বেড়ে উঠেছেন নারমাদা নদীর তীরে। সেখানেই সাঁতার শেখা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে স্থানীয় দুটি ছোট গ্রামের গর্ভবতী মা ও ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের সেবা দিতে শুরু করেন তিনি। উদ্দেশ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মা ও শিশু যাতে কিছুতেই যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা কিংবা পুষ্টিবঞ্চিত না হয়।

কাজের অংশ হিসেবে তিনি নিয়মিত ওই এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য, ওজন, বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নৌকা বেয়ে এত পথ পাড়ি দেয়া সহজ বিষয় নয়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার পর আমার হাতে ব্যথা হয়। কিন্তু সেজন্য আমার চিন্তা নেই। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নবজাতক ও তাদের মায়েদের পুষ্টিকর খাবার ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমি ওই ছোট ছোট গ্রামে সেবা দিয়ে যাব।’

চলমান এই মহামারিতে এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি।

ইতোমধ্যে রেলুর এই মহতী উদ্যোগের কথা পৌঁছে গেছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কানে। মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

এসএইচ-০২/২৫/২০ (অনলাইন ডেস্ক)