গ্রামের নাম ‌‘ফাকিং,’ বিড়ম্বনায় বদলে হচ্ছে ‘ফাগিং’

গ্রামের নাম ‌‘ফাকিং’। তা নিয়ে ইন্টারনেটে বহু ঠাট্টা হয়েছে। অগত্যা গ্রামের নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। হাজার বছরের পুরনো নাম তরা বদলে ফেলছেন।

জার্মানির সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট এই গ্রামে লোকসংখ্যা শখানেক। দীর্ঘদিন ধরেই এই গ্রামের নাম ফাকিং। ইন্টারনেট আসার আগে পর্যন্ত গ্রামের নাম নিয়ে কোনো সমস্যাও ছিল না। কিন্তু ইন্টারনেট আসতেই শুরু হলো সমস্যা। বাড়লো পর্যটকদের উৎপাত। অন্য কোনো কারণে নয়, সকলেই গ্রামের নাম লেখা সাইনবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। ফলে শেষ পর্যন্ত গ্রামের মানুষ নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। প্রশাসনকে জানানো হয়, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নাম বদলে হচ্ছে ‘ফাগিং’।

জার্মান ভাষায় ফাকিং শব্দের কোনো অর্থ নেই। উচ্চারণ ফাগিং। এতদিন এই নাম নিয়ে যে বিপত্তি হতে পারে, তা বুঝতেই পারেননি গ্রামের মানুষ। বস্তুত এই গ্রামের অদূরেই রয়েছে আরও দুইটি গ্রাম– কিসিং এবং ওয়েডিং।

বহু পর্যটকই জার্মানির মিউনিখ থেকে সালজবুর্গের রাস্তায় এই গ্রামগুলোতে নেমে ছবি তোলেন। সাইনবোর্ড তুলে নেন সংগ্রহে রাখার জন্য। ইন্টারনেটে নামের জন্য ভাইরাল হয়ে গেছে এলাকাটি। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা বেড়েছে।

ফাকিং শব্দের ইংরেজি অর্থ জানার পরে গ্রামের মানুষেরও বিপত্তি বেড়েছে। কোনো কোনো ব্যক্তি ফাকিং সাইনবোর্ডের গায়ে লিখে দিয়েছেন ‘আমাদের আবহাওয়া ফাকিং গুরুত্বপূর্ণ’। গ্রামের মানুষ চাইছিলেন না, এই বিপত্তি চলুক। সে কারণেই তারা নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেন।

ফাকিং নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিলেও একই ধরনের আরও বেশ কয়েকটি জনপদ এখনো পুরনো নাম বদলের কথা ভাবেনি। তেমনই দুইটি গ্রামের নাম ওবারফাকিং, উনটারফাকিং। জার্মান সীমান্তে পাহাড়ের কোলে এই দুইটি গ্রামও কি ফাকিংয়ের পথ অনুসরণ করবে?

এসএইচ-১৮/২৯/২০ (অনলাইন ডেস্ক)