তিমির বমিতে রাতারাতি ২৫ কোটির মালিক মৎস্যজীবী

সৃষ্টিকর্তা যাকে চান তাকে কল্পনার চেয়েও বেশি দেন। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু পেয়ে রাতারাতি ভাগ্য ফেরে কিছু মানুষের। যেমনটা হয়েছে থাইল্যান্ডের এক মৎস্যজীবীর সঙ্গে। তিমি মাছের বমিতেই রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ওই মৎস্যজীবী।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, নারিস নামে ওই মৎস্যজীবী প্রথমে তিমির বমিকে সাধারণ পাথরের টুকরো ভেবেছিল। কিন্তু এটির আসল দাম প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এটির ওজন প্রায় ১০০ কেজি। এখন পর্যন্ত পাওয়া অ্যাম্বারগ্রিসের বৃহত্তম টুকরো এটাই।

নারিস নামে ওই মৎস্যজীবীর মাসিক আয় ৫০০ পাউন্ড। তিনি কখনই ভাবতে পারেননি যে তার ভাগ্যে কোনোদিন জুটবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

নারিস জানিয়েছে, এক ব্যবসায়ী তাকে ওই তিমির বমির জন্য ২৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে নারিস এই অ্যাম্বারগ্রিসের সুরক্ষার কথা ভেবে পুলিশকেও জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

বৈজ্ঞানিক ভাষায় তিমির এই বমিকে অ্যাম্বারগ্রিস বলে। এটি তিমির দেহ থেকে নির্গত বর্জ্য যা তিমির অন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসে। কখনও এটি প্রাণীটির মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসে, আবার কখনও পদার্থটি বড় হয়ে গেলে তিমি মুখ দিয়ে তা বাইরে বের করে দেয়।

অ্যাম্বারগ্রিস আসলে কটি শক্ত, মোমের মতো জ্বলনীয় পদার্থ। সাধারণত, তিমি সৈকত থেকে অনেক দূরে থাকে, তাই তাদের দেহ থেকে এই উপাদানটি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে অনেক বছর সময় লাগে।

এসএইচ-১৯/০৩/২০ (অনলাইন ডেস্ক)