জার্মানির বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা ২৬টি বিরল প্রজাতির সরীসৃপ উদ্ধার করেছেন। মেক্সিকো থেকে খেলনা পুতুল ও মিষ্টি খাবারের প্যাকেটের মধ্যে লুকিয়ে এগুলো জার্মানিতে পাচার করা হচ্ছিল। এর মধ্যে ১০টি সরীসৃপ মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
মৃত প্রাণীগুলোর বেশিরভাগ দমবন্ধ হয়ে মরে গেছে। তাদের কাপড়ের পুতুলের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে সেলাই করে দেয়া হয়েছিল। এ তথ্য জানানো হয়েছে কোলোন বন বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে।
বিপন্ন প্রজাতির শিংওয়ালা টিকটিকি, অ্যালিগেটর এবং এক বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ জার্মাানিতে চোরাই পথে চালান দেয়া হচ্ছিল একজন বেসরকারি খদ্দেরের জন্য।
মেক্সিকো থেকে পাঠানো খেলনা ও মিষ্টি যেগুলো বিমানবন্দরে জব্দ করা হয়েছে
বিপন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং পশুপাখি সংরক্ষণের চেষ্টায় কাজ করছে সাইটস নামে আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ঝুঁকিতে থাকা বেশ কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর যে তালিকা তৈরি করেছে মেক্সিকো থেকে পাচার করা এই প্রাণীগুলো সেই তালিকায় রয়েছে।
জার্মান কর্মকর্তারা এখন ডিএনএ নমুনা ব্যবহার করে এই সরীসৃপগুলো কোথা থেকে এসেছে তার খোঁজ করার চেষ্টা করছেন। তাদের জঙ্গল থেকে ধরে চালান দেয়া হয়েছে, নাকি কোথাও এই প্রজাতির প্রাণীগুলো খাঁচায় রেখে প্রজনন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের জন্ম দেয়া হয়েছে কর্মকর্তারা সেটা জানার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
দুটি পার্সেলে করে এই চালান পাঠানো হয়েছে, যার একটি ৩০ অক্টোবর এবং অন্যটি ৮ নভেম্বর বিমানবন্দরে জব্দ করা হয়।
জার্মানির শুল্ক বিভাগ মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ এবং জার্মানির বন শহরের আলেকজান্ডারে কোয়েনিগ গবেষণা যাদুঘরের জীববিজ্ঞানীদের সাথে একযোগে কাজ করছে। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী চুরি করে তার থেকে অবৈধ কোন পণ্য যারা উৎপাদন করে, বনের এই যাদুঘরের জীববিজ্ঞানীরা মূলত সেগুলো নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করেন। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সাপের চামড়ার ব্যাগ বা পশুর লোমের তৈরি পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী।
পুলিশ চোরাচালানকারীদের ধরতে পারলে তাদের জরিমানা করা হবে।
যে ১৬টি প্রজাতির সরীসৃপ বেঁচে রয়েছে তাদের মেক্সিকোর অরণ্যে তাদের নিজস্ব বাসস্থানে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা সাইটসের (কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশানাল ট্রেড ইন এনডেনজার্ড স্পিসিস) ১৯৭৩ সালের সনদে সই করেছিল ১৮২টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যে সনদ ছিল প্রায় ৬ হাজার প্রজাতির প্রাণী এবং ৩০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণের অঙ্গীকারনামা।
এসএইচ-১৫/০৫/২০ (অনলাইন ডেস্ক)