পাঁচ মরদেহের সঙ্গে শিশুর ৭২ ঘণ্টা!

রাগের মাথায় বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্বামী। রাগ কমলে বাড়িতে ফোন করেন তিনি। বেশ কয়েক বার ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি। এরপর বাসায় এসে দেখতে পান স্ত্রী-সন্তান-নাতিসহ পাঁচজনের মরদেহ। অবশেষে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ রকম একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুতে আত্মহত্যা করেছেন এক পরিবারের চার সদস্য। এছাড়া অনাহারে মৃত্যু হয়েছে নয় মাসের এক শিশুরও। পরিবারের আরও এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিন দিন (প্রায় ৭২ ঘণ্টা) ধরে মরদেহের সঙ্গে ঘরের মধ্যেই ছিল দুই বছরের ওই শিশু। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।

এ বিষয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ দিন আগে গৃহকর্তা এইচ শঙ্করের সঙ্গে তার মেয়ের ঝগড়া হয়। তার পরেই রাগের মাথায় বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। রাগ কমলে বাড়িতে ফোন করেন শঙ্কর। বেশ কয়েকবার ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

ঘরে ঢুকে স্ত্রী (৫০), ছেলে (২৭) ও দুই মেয়ের (৩৫ ও ৩৩) ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান শঙ্কর। ঘরের মেঝেতে নয় মাস বয়সী নাতনির মরদেহ পড়েছিল। আর এক নাতনি অবশ্য বেঁচে ছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জীব এম পাতিল আরও বলেন, বাড়ির মধ্য থেকে আমরা পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। এক শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে চারজন আত্মহত্যা করেছেন। না খেতে পেয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, তিন দিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহগুলোতে পচন ধরেছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এসএইচ-২১/১৮/২১ (অনলাইন ডেস্ক)