৪০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে এক কাপ চা

পাকিস্তানের গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডিতে এক কাপ চা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ রুপিতে।

চিনি, গ্যাস ও চা পাতার দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে। দোকানিরা বলছেন, সব ধরনের উপকরণের দাম ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় চায়ের দাম বাড়ানো ছাড়া তাদের কাছে কোনো উপায় নেই।

দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডনের খবরে বলা হয়েছে, দোকানিরা এক কাপ চা বিক্রি করছেন ৪০ রুপিতে। কোনো কোনো দোকানে তা ৪৫ রুপিতে বিক্রি করছেন তারা।

কিওসকের এক দোকানি বলেন, খোলা চা, প্যাকেট চা, দুধ, চিনি ও গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে এক চায়ের দাম ৩০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৪০ রুপি করা হয়েছে। অর্থাৎ চায়ের দাম ৩৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

চা দোকানিরা বলেন, সব ধরনের উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। কাজেই চায়ের দাম বাড়ানোর বিকল্প কিছু নেই আমাদের সামনে।

তিনি বলেন, প্রতি লিটার দুধের দাম ১০৫ থেকে বেড়ে ১২০ রুপি হয়েছে। খোলা চা–পাতার দাম কেজিতে ৮০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০০ রুপি। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এক সিলিন্ডার তরলীকৃত গ্যাস এক হাজার ৫০০ রুপিতে পাওয়া গেলেও এখন তা ৩ হাজার রুপি।

এই চা দোকানি জানান, আমাদের উপার্জন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দাম বাড়ানো ছাড়া আমাদের করার কিছু নেই।

আবদুল আজিজ নামের আরেকজন বলেন, একদিনে আমাদের সর্বমোট দুই হাজার ৬০০ রুপি বিক্রি হচ্ছে। এরপর লাভ হিসাব করতে গিয়ে দেখি ১৫ রুপি হাতে আছে। এতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, লাভের জন্য ব্যবসা করি। কিন্তু পরিস্থিতি এখন এমন যে এক কাপ চায়ের দাম বাড়ানো ছাড়া তাদের কোনো উপায় ছিল না।

তবে চায়ের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে ছোট চায়ের দোকানগুলোতে। নিয়মিত যারা এসব দোকানগুলোতে চা খেতেন, তারা চা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

দেখা যাচ্ছে, আগে দিনে যারা চার কাপ চা খেতেন, এখন খাচ্ছেন তিন কাপ। আবার অনেকে চা খাওয়া ছেড়ে দেবেন বলেও ভাবছেন।

এসএইচ-১৬/১৩/২১ (অনলাইন ডেস্ক)