প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার দিন

অনেক বছর পর হঠাৎ তন্ময়ের সঙ্গে দেখা প্রিয়াঙ্কার। তন্ময়কে আজ যেন বড়ই অচেনা লাগছে। অথচ এক সময় একজন আরেকজনকে ছাড়া এক সেকেন্ডও চলত না। ঘুম ভাঙতেই দুজন দুজনকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনত। একসঙ্গে কত ঘুরে বেড়ানো, হাতে হাত রেখে বৃষ্টিতে ভেজা।

ফুল ভালোবাসে প্রিয়াঙ্কা, এ কথা কখনই ভুলত না তন্ময়। তাই তো যে কোনো উৎসবেই টিএসসিতে ঘোরাঘুরি, ফুল কিনে দেওয়া। আরও কত স্মৃতি। আজ দুজনের রাস্তা দুদিকে।

স্মৃতির পাতার আওড়ালে ভালোবাসার ছিটে ফোটা মিললেও মিলতে পারে। কিন্তু বর্তমানে ভালোবাসা হয়তো আর নেই। নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আর নিতে পারছিলেন না দুজন। এ সময়টা অধিকাংশেরই থাকে হাজারটা অভিযোগ, প্রবল ঘৃণা ও ক্ষমাহীন ক্ষোভ। হয়তো এই সব অনুভূতির পেছনের কারণগুলো যথার্থই যৌক্তিক। কিন্তু অনূভুতি পুষে রাখা মানেই তো নিরন্তর মানসিক পীড়ন।

চলে যাওয়া মানুষটিকে নিজের ভেতর ঘৃণায় বাঁচিয়ে রাখা শুধু। কেবলই যেন বুকের ওপর অনড় জগদ্দল পাথর চাপিয়ে রাখা। তার চেয়ে প্রাক্তনকে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দিলে কেমন হয়। অসহনীয় অতীতকে ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এর চেয়ে সহজ পথ বোধ হয় কমই আছে। তাই তো ১৭ অক্টোবর, প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার দিন।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয় বিচিত্র দিবসটির। চলে গেছে যে মানুষ ফেরার আকুতিকে উপেক্ষা করে, যেতে দিন তাকে। প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার এই দিবসে আরেকবার মনে করুন। যা আছে অভিযোগ, ক্ষোভ কিংবা ঘৃণা, সব ভুলে গিয়ে বলে দিতে পারেন, ‘যাও, তোমাকে মাফ করে দিলাম, ভালো থাক সব সময়।’

প্রেমের সম্পর্ক নানা কারণেই ভেঙে যায়। অনেকেরই তাদের সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি রাগ, ক্ষোভ, অভিমান অথবা প্রতিহিংসা রয়ে যায়। এই অভিযোগ ও ঘৃণাকে মুছে ফেলে দেওয়ার জন্য এ দিবসের আবির্ভাব। প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার দিন- এর উদ্দেশ্য চলে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া পছন্দের মানুষের প্রতি যেন ক্ষমাশীল হওয়া যায় এবং সবাই যেন সকল অভিযোগ ভুলে সম্মানের চোখে তাকে দেখে। আর সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করে।

অতীতের ভুলে সামনে যাওয়ার পথে দিনটি এক শুভ বার্তা। সবাই যেন দিনটিতে প্রাক্তন প্রিয় মানুষটাকে জানাতে পারে, ‘ক্ষমা করে দিলাম।’

এসএইচ-২৪/১৭/২১ (অনলাইন ডেস্ক)