ইরাকে ২৭০০ বছর আগের মদের কারখানা আবিষ্কার!

প্রত্নতাত্ত্বিকরা ইরাকে রোববার ২৭০০ বছর পুরনো এক বিশাল মদের ফ্যাক্টরি আবিষ্কার করেছেন। এটি অ্যাসিরীয় সভ্যতার নিদর্শন।

অ্যাসিরীয় রাজারা ২৭০০ বছর আগে পাথরে খোদাই করা দেবদেবী, রাজা ও পবিত্র পশুর মূর্তি দিয়ে সাজিয়েছিলেন এর চারপাশ।

ইতালির দহুকের প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল জানিয়েছে, ইরাকে সম্প্রতি পাওয়া মূর্তিগুলোতে দেখা যায় রাজারা বিভিন্ন দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করছেন। এছাড়াও জানা গেছে উত্তর ইরাকের ফাইদায় সেচের জন্য ৫ দশমিক ৫ মাইল দীর্ঘ খাল খনন করা হয়েছিল।

খোদাই করা মূর্তিগুলোর মধ্যে দুই মিটার লম্বা দেয়ালে দেবতাদের পাশাপাশি আরও দেখা যায়- পবিত্র প্রাণী ও রাজাদের। তারিখ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি খ্রিষ্টপূর্ব ৭২১-৭০৫ সময়কার। প্রত্মতাত্ত্বিকরা মনে করছেন এটি দ্বিতীয় সারগন এবং সেন্নাচেরিবের সময়কার।

ইতালির প্রত্নতত্ত্ববিদ দ্যানিয়েল মোরান্দি বলেন, কুর্দিস্তানের আরও অনেক জায়গায় খোদাই করা মূর্তি রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর কোনটিই এত বড় নয়।

একটি দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে- অ্যাসিরিয়ান রাজা অ্যাসিরীয় দেবতাদের সামনে প্রার্থনা করছেন। এছাড়াও পাশে একটি সিংহের পিঠে প্রেমের দেবী ইশ্তারের পাশে অন্য আরও সাত দেবতার দেখা মিলেছে এখানে।

মে চলছে সেচের জন্য যে খাল খোড়া হয়েছিল সেগুলো পাহাড় থেকে কৃষকদের জমিতে পৌঁছে গেছে। এরই চারপাশে খোদাই করে রাজা দেবতাদের ছবিসহ তার নিজের ছবি ও নাম লিখেছেন যেন তার প্রজারা তাকে মনে রাখে।

মোরান্দি আরও বলেন, এটা শুধু ধর্মীয় কারণে করা হয়েছে বলা যাবে না। এর রাজনৈতিক কারণও আছে। রাজা তার প্রজাদের জন্য কী কী করেছেন তা তিনি তাদের দেখাতে চেয়েছেন।

দহুকের কাছে খিনিসে সেন্নাচেরিবের আমলের কয়েকটি বড় পাথরের বেসিন পাওয়া গেছে। এগুলো ওয়াইন বানানোর কাজে ব্যবহার করা হত। ইতালির উডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোরান্দি জানান, এটি ওয়াইন শিল্প থাকার প্রমাণ। এখানে ওয়াইন তৈরির ১৪টি স্থাপনা পাওয়া গেছে। এগুলোতে ওয়াইন তৈরির আঙ্গুর থেকে রস বের করার কাজ করা হত।

ইরাকে বিশ্বসভ্যতার প্রথম শহরগুলো রয়েছে। অ্যাসিরীয়, সুমেরীয় এবং ব্যবিলনীয়দের পদচারণায় প্রাণ পেয়েছিল নগরগুলো। এখান থেকেই লেখালেখির প্রথম উদাহরণ আবিষ্কার হয়েছিল।

এসএইচ-১০/২৫/২১ (অনলাইন ডেস্ক)