উচ্চ ডিগ্রিধারীরা পিয়ন-গাড়িচালকের চাকরি পেতে মরিয়া!

ভারতের মধ্যপ্রদেশে মাত্র ১৫টি পদের বিপরীতে ১১ হাজার চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির গোয়ালিয়রে ১৫টি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে পিয়ন, গাড়িচালক ও ওয়াচম্যানের পদ ছিল। গত শনি ও রোববার ওই পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার। চাকরিপ্রার্থীরা মধ্যপ্রদেশ ছাড়া উত্তর প্রদেশ থেকেও এসেছিলেন পরীক্ষায় অংশ নিতে। শুধু তাই নয়, উপরোক্ত পদেে চাকরি পেতে এরই মধ্যে আবেদন করেছেন স্নাতক পাস, এমনকি পিএইচডি ডিগ্রিধারী ব্যক্তিও!

এর আগে ভারত সরকারের স্ট্রিট ভেন্ডর পদে ১৫ লাখ আবেদন জমা পড়েছিল। এতে মনোনীত হয়েছিলেন ৯৯ হাজার প্রার্থী, যাদের ৯০ শতাংশ ছিলেন গ্র্যাজুয়েট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল দশম শ্রেণি পাস। কিন্তু আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে ছিলেন স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিএ পাস; এমনকি পিএইচডি ডিগ্রিধারী ব্যক্তিও। এছাড়া দেশটির সিভিল জজ পদের প্রার্থীরাও ওই পদের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, সবাই সরকারি চাকরি চায়। কিন্তু সবাইকে তো আর সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব না।

সরকারি হিসাবে, মধ্যপ্রদেশে বেকারের সংখ্যা ৩২ লাখ ৫৭ হাজার ১৩৬। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে শূন্য পদের সংখ্যা ৩০ হাজার ৬০০, স্বরাষ্ট্র দফতরে ৯ হাজার ৩৮৮, স্বাস্থ্য দফতরে ৮ হাজার ৫৯২ ও রাজস্ব দফতরে ৯ হাজার ৫৩০টি। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে শূন্য পদের সংখ্যা এক লাখ।

দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুারোর (এনসিআরবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শুধু মধ্যপ্রদেশে বেকার সমস্যার কারণে ৯৫ জন যুবক আত্মহত্যা করেছেন।

এসএইচ-২০/২৯/২১ (অনলাইন ডেস্ক)