উচ্চ স্বরে কথা বলায় চাকরি গেল

কেউ উচ্চ স্বরে কথা বললে অন্যের বিরক্তি লাগাটাই স্বাভাবিক। এর জন্য বড়জোর তাকে থামতে বলা যায়, বিরক্তি প্রকাশ করা যায়। কিন্তু তাই বলে চাকরি চলে যাওয়া ঘটনা বিরল।

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর শিক্ষিকা অ্যানেট প্লাউট ৩০ বছর ধরে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগে পড়াচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ‘জোরে কথা বলা’র অভিযোগে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, পিএইচডিরত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্যই তাকে বরখাস্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বরখাস্তের সাথে তার জাতি, যোগ্যতা বা লিঙ্গের কোনও সম্পর্ক ছিল না।

৬০ বছর বয়সী অ্যানেট জানান, মধ্য-ইউরোপীয় ইহুদি হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই তার ‘উঁচু’ কণ্ঠস্বর। আর এই কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে তিনি দাবি করেন।
বিতর্কিত এই বরখাস্তের পরে, অ্যানেট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অসচেতন এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে বর্ণনা করেন।

তিনি জানান, এর আগে যখন তিনি নিউইয়র্ক এবং জার্মানিতে থাকতেন ও কাজ করতেন তখন তার উচ্চস্বর নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না।

পরে তিনি ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারক সব শুনে অ্যানেটের পক্ষেই রায় দেন। পুনর্নিয়োগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে অ্যানেটকে ১ লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেয়, তারও নির্দেশ দেন আদালত।

এসএইচ-২৮/২০/২২ (অনলাইন ডেস্ক)