স্ত্রীর সঙ্গে ‘অবৈধ সম্পর্ক’, পুলিশের ঠোঁট-কান কেটে নিল স্বামী

স্ত্রীর সঙ্গে ‘অবৈধ সম্পর্কের’ অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান ও ঠোঁট কেটে নিল স্বামী। শুধু তাই নয়, নাক-কান কাটার আগে ওই কনস্টেবলের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

রোববার ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝাং জেলায়। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, লাহোর থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। নির্যাতনের শিকার কনস্টেবলের নাম কাশিম হায়াত। আর এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ ইফতিখার।

অভিযুক্ত ইফতিখারের সন্দেহ ছিল, কনস্টেবল কাশিম তার স্ত্রীর সঙ্গে ‘অবৈধ প্রেমের’ সম্পর্কে জড়িয়েছে এবং তার স্ত্রীকে ‘জোর করে’ এ সম্পর্কে থাকতে বাধ্য করেছে। কাশিমের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে ‘ব্ল্যাকমেইলের’ অভিযোগও করেছেন ইফতিখার।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, রোববার ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার সময় অন্তত ১২ জন সঙ্গী নিয়ে কাশিমের পথ রোধ করে দাঁড়ান ইফতিখার। জোর করে নির্জন একটি স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কনস্টেবল কাশিমকে। সেখানে নিয়ে প্রথমে তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেয়া হয় কাশিমের নাক, কান ও ঠোঁট।

পরে কাশিমকে উদ্ধার করে ঝাং জেলার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সংকটজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

গত মাসে কনস্টেবল কাশিম হায়াতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির (পিপিসি) ধারা ৩৫৪ (নারী নির্যাতন), ৩৮৪ (চাঁদাবাজি) এবং ২৯২ (পর্নোগ্রাফি) ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন ইফতিখার।

ইফতেখারের দাবি, কনস্টেবল কাশিম তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে স্ত্রীকে ‘অবৈধ সম্পর্ক’ স্থাপনে বাধ্য করেছিল। এরপর জোর করে তার স্ত্রীর সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ স্থাপন এবং এর একটি ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও দিয়ে তাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করা শুরু করে কাশিম।

ইফতেখার ও তার সহযোগীদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসএইচ-১৩/০১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)