দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়ের অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সন্ধান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র বাহিনীর নিক্ষেপ করা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সন্ধান মিলেছে। হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও পুড়ে গেছে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার বনাঞ্চল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে দেশটির সেনাবাহিনী।

৭০ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিকে পরাজিত করতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও তাদের মিত্রবাহিনী যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ছুটে আসে কয়েক হাজার যুদ্ধবিমান। যেসব বিমান থেকে ফেলা হয় বিপুল পরিমাণ বোমা। যেগুলোর অধিকাংশই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলেও কিছু থেকে যায় অবিস্ফোরিত। এখনো সেসব বোমা পাওয়া যায় জার্মানির বিভিন্ন এলাকার মাটি খুঁড়লেই।

তেমনই অবিস্ফোরিত বোমা ও গোলাবারুদের সন্ধান পেল জার্মানির রাজধানী বার্লিনের পশ্চিমে গ্রুনেভাল্ড বা সবুজ বনে। বুধবার (০৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গ্রুনেভাল্ডের পুরো এলাকা। কিছু বোঝার আগেই বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে যায় গাছপালায়। সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে ঘরের দরজা জানালাও।

স্থানীয় একজন জানায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে আমরা বিস্ফোরণের খবর পাই। কিন্তু শুরুর দিকে ভেবেছিলাম এটি হয়তো বনের আগুন। কিন্তু পরে যখন ঘটনাস্থলে আমরা আসলাম তখন বুঝতে পারলাম এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবিস্ফোরিত বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে হেলিকপ্টার ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আগুন নির্বাপক গাড়ি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে আমরা প্রায় ১ কিমি দূরত্বে অবস্থান করছি।

বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে মাঠে নামানো হয় জার্মান সেনাবাহিনীর বিশেষ রোবট। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে দিনভর অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীর অন্তত ১২০টি দল।

স্থানীয় আরেকজন বলেন, বিস্ফোরণ ঘটলেও হতাহত হওয়ার মতো কোনো ঝুঁকি আপাতত নেই বলে মনে করছি। কোনো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন আশঙ্কাও নেই।

তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার জানায়, বিস্ফোরণের মাত্রা কমিয়ে আনা ও তা থেকে সৃষ্ট আগুন খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনাতে না পারলে আশপাশের বনে তৈরি হতে পারে ভয়াবহ দাবানল।

এসএইচ-০৯/০৫/২২ (অনলাইন ডেস্ক)